হরিরামপুরে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না আওলাদ হোসেন নামের এক যুবক

আবিদ হাসান,মানিকগঞ্জ:
টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আওলাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। সে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে। তার দুটি কিডনী ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে মিরপুর ২ নম্বর কিডনি ফাউন্ডেশনের ৫০৩ নম্বর রুমে ফ্রি বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর মালয়েশিয়ার প্রবাস জীবন কাটিয়ে ৩ বছর আগে দেশে ফিরে। দেশের ফেরার পরেই তার কিডনী রোগ ধরা পড়ে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় তার দুটি কিডনীই শুকিয়ে গেছে। ওই সময় ছেলের জীবন বাঁচাতে ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা জমেলা বেগম একটি কিডনী দেন। এতে সে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে। যার ফলে এক বছর আগে আওলাদ হোসেন শিবালয় উপজেলার টেপড়া গ্রামের শাহানাজ আক্তার রিয়াকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। কিন্তু বিধি যে বাম। মায়ের দেয়া কিডনীতে বছর দুয়েক ভাল চললেও একমাস আগে পুনরায় আবার কিডনীর সমস্যা দেখা দেয়। এতে পরীক্ষা করে দেখা যায় তার মায়ের দেয়া কিডনীটিও ড্যামিজ হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে দুটি কিডনীই অকার্যকর। এখন তার ডায়োলসিস চলছে। এখন আবার কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এখন আওলাদ হোসেনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়া কিডনী দিতে সম্মতি থাকলেও টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার দরকার। দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করলেও বর্তমানে অর্থাভাবের কারণে চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই।

এ ব্যাপারে স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে তিনি জানান, দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করা হয়েছিল। বর্তমানে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আমার নিজের কিডনী দিয়ে আমার স্বামীর জীবন বাঁচাতে গিয়েও টাকার জন্য সেটাও হয়ে উঠছে না। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার স্বামীর জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা করছি।

আওলাদ হোসেন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ২০০৮ সালে আমাদের জমিজমা, ভিটে বাড়ি সব পদ্মায় নিয়ে যায়। তারপর থেকেই অন্যের এক ভিটেবাড়ি ভাড়া করে ঘর তোলে সেখানে কোনোরকম জীবন যাপন করছি। তাই এখন আর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত বাড়ানো ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। তাই আমি বিনীতভাবে সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি। আমাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন:- কিডনি ফাইন্ডেশন মিরপুর ২,লিফটের ৪ তালা, ৫০৩ নং রুম, ফ্রি বেড। বিকাশ নাম্বার : ০১৭৪৫৩৭৫৫২১ (শাহানাজ আক্তার রিয়া)।