নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (রেইজ) প্রকল্পের ওরিয়েন্টেশন ও প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর (শনিবার) শহরের খুরুশকুল রাস্তারমাথা এলাকার এসকে টাওয়ারের নিজস্ব অফিসে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান, আইওএম এর বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডক্টর আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশফেরত কর্মীদের একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে, যা বাংলাদেশে প্রথম। ২০২০ সাল থেকে করোনার কারণে ফেরতকর্মীদের প্রকল্প সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্পের আওতায় এ আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ প্রবাসফেরত নারী-পুরুষের প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা শারীরিকভাবে সক্ষম ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পুনরায় কর্মে যোগ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে আগ্রহী তাদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
তিনি বলেন, ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশফেরত কর্মীদের নগদ প্রণোদনা, আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা, কাউন্সেলিং, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতা, দক্ষতা সনদ প্রদান, কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতা এবং কল্যাণমূলক অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান বলেন, প্রত্যাগত কর্মীদের রেজিস্ট্রেশনের পর মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলিং প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে কর্মী কী ধরনের কাজের জন্য উপযুক্ত এবং আত্মকর্মসংস্থানে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সার্ভিস ম্যাপিং করা হবে। যাতে করে কর্মীরা জানতে পারে কোন এলাকায় কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। এদিকে করোনা মহামারীতে বিদেশ থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছেন প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী। প্রত্যাগত এসব কর্মীর বেশিরভাগই কর্মহীন। তাছাড়া পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অর্থকষ্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিদেশফেরত বিপুল সংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।