ড.জাকির হাওলাদার:
যৌন চাহিদা বৈধ উপায়ে মেটানো এবং মানব প্রজন্ম বৃদ্ধির জন্যই বিয়ের সিষ্টেম চালু আছে।
এখন প্রথম কথা হলো, মানুষের সচরাচর যৌন চাহিদা শুরু হয় ১১/১২ বছর বয়স থেকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের নুন্যতম বয়স ১৮। তাইলে এই ৬/৭ বছর কি করে কাটবে? আপনি হয়তো যুক্তি দেখায়া বলবেন, এসময়তো পড়াশুনার বয়স। আরে ভাই মানুষ কি ২৪ ঘন্টা শুধু পড়াশুনা করেই কাটায়? ইয়াং জেনারেশনের মাঝে জরিপ চালায়া দেখেন তারা আসলে কি করে? দেখবেন যে, যাই কিছু পড়াশোনা করে আর বাকী সময়টা সিনেমা দেইখা গান শুইনা পর্ণোগ্রাফি দেইখা মাইয়্যা মাইনষের সাথে আড্ডাবাজি কইরা আর ইদানিং ফেসবুক, হোয়্যাটসআপ ইমুতে চেটিং কইরা কাটায়া দিচ্ছে! আর হবু ইয়াং জেনারেশন যাচ্ছে নালা-নর্দমায়!
দ্বিতীয়ত আপনি আরেকটা যুক্তি দিবেন যে, বেকার যুবক বৌ’রে খাওয়াবে কি? আমি যদি আপনাকে পালটা প্রশ্ন করি, যেই মেয়েটাকে বিয়ে করবে সেই মেয়েটা কি এতদিন না খেয়ে ছিলো? আমাদের দেশে বিয়েতে গায়ে হলুদ, বৈরাত খাওয়ানো, বৌ-ভাত ইত্যাদি ইত্যাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয় তা দিয়ে একটা ছেলে বা মেয়ের ৪/৫ বছরের ভাত-কাপড়ের খরচ জোগান হয়ে যায়। তাছাড়া বিয়ে না হলে চাকরিবাকরি না পাওয়া পর্যন্ত ছেলেমেয়েদেরকে তাদের পিতামাতারা ভাত খাওয়াতেননা? তাইলে বিয়ের পরে কয়েকবছর ছেলে-মেয়ে উভয়ে গার্জিয়ান মিলে খরচ জোগালে অসুবিধা কি?
আপনি হয়তো আরেকটা যুক্তি দিবেন যে, ছাত্রজীবনে বিয়ে করলে পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটে। আপনার এই যুক্তিও আমি মানতে নারাজ। আমি এমন এক সরকারি বড় আমলাকে চিনি যিনি মেট্রিক পরীক্ষার পর পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। বউকে নিয়ে ঢাকায় থেকে টিউশনি করে নিজেদের পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন। আজকে তিনি প্রশাসন ক্যাডারের বড় কর্মকর্তা এবং ভাবী ইউনিভার্সিটি শিক্ষক। বিয়ে করে ফেললেতো মনোযোগ থাকে একজনের দিকে আর বিয়ে না দিলে ছেলেমেয়েদের যে, ক্যাটরিনা, মৌসুমি, শাহরুখ, সালমান, ঐশ্বরিয়াদের দিকে গোপনে মনোযোগ দিয়ে থাকে সেটা হয়তো আপনি জানেনওনা!
যথাসময়ে বিয়ে না করার কারণে অলিখিতভাবে কল্পনায় অনেকেই বউ থাকে! এই কল্পনার বউদের কারো চুল সুন্দর কারো নাক সুন্দর কারো চোখ সুন্দর কারো আবার হাসিটা খুব সুন্দর। আর পর্ণোতে সুন্দরী নায়িকার ফিগারতো আছেই!
এখন সমস্যা হলো দেরিতে করে তারে যখন বিয়ে দেওয়া হবে তখন তার বউরে পায়, তখন সে এই সব গুণ সদ্য বিবাহিত পার্টনারের মধ্যে খুঁযে। কিন্তু বাস্তবে সব ধরনের সৌন্দর্য একজনের মধ্যে পাওয়া কি সম্ভব? বাস্তবের বউ আর পর্ণের নায়িকার মাঝে তফাৎ বহুত সেটা অনেকে বুঝতে চায়না। বিবাহিত পার্টনাররে আর ভালা লাগেনা। শুরু হয় পরকিয়া!
মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বিশ্রী মানুষটারও কিন্তু বিয়ে হবে। এবং তার পার্টনারের কাছে সে অপরূপ হবে। তাই বিবাহের আগে উল্টাপাল্টা স্বাদ নেওয়ার আগেই যদি বিয়ে হয় তখন আর কম্পেয়ার থাকবেনা এবং কালো কুচকুইচ্চা বউকেও অপ্সরা লাগবে।
তাই সরকারকে বিয়ের বয়সের বিষয়টা পুনঃবিবেচনার আবেদন করছি।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।