ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার
মার্চ ৭, ২০২৪ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিরাজুল ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

সেদিনের অগ্নিঝরা ভাসনে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। আজ থেকে ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ তারিখে পদ্মা-মেঘনা-যমুনাবিধৌত এতদঅঞ্চলের মানুষ একটি ভাষণ শুনেছিল। যে মানুষটি ’৪৮ থেকে শুরু করে ’৭১ পর্যন্ত সময়ে ধাপে ধাপে সেই মহাজাগরণের ডাকটি দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন ইতিহাসের সমান্তরালে আর দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এক মহাজাগরণে শামিল হয়ে ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়তে; তিনিই হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত উচ্চারণ-‘এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।

এবং বাংলাদেশের মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এদেশের মানুষ ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রাখবে ইনশাল্লাহ, একজন মুসলিম নেতা একজন মুসলমান হৃদয়ের মানুষ কোনদিন কোন ধর্মাবলম্বীদেরকে যে কখনো ঘৃণা করেনি, প্রত্যেকটি জাতিই তাকে ভালবাসে তার জন্য যার চোখে কান্না আসে না, সে নিতান্তই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অংশীদার।

ইতিহাস জানেনা যারা ইতিহাস বিকৃত করতে চাই, যারা ইতিহাসের কলঙ্ক সৃষ্টিকারী, নিশ্চয়ই তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই দেখবে এদেশের মানুষ ইনশাল্লাহ, সেদিনের বাঙালি জাতি আজও প্রত্যেকটি কথাই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে,বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যাদেশনেত্রী দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী,বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিশলাকা, যা প্রজ্বালিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সেই দাবানলের, যার সামনে টিকতে পারেনি শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা। ১৯৭১-এর ৭ থেকে ২৫ মার্চ এ ১৮ দিনে এ ভাষণ বাংলাদেশেরে সাত কোটি মানুষকে প্রস্তুত করেছে মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। জন রিড রচিত বিশ্বখ্যাত ‘Days that shook the world’-যে কটি দিনে রাশিয়ায় মহামতি লেলিনের নেতৃত্বে অক্টোবর বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বাঙালির কাছে ওই ১৮ দিন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাটি এসেছিল ২৬ মার্চের প্রথমে প্রহরে।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ, সারা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছে তারা সত্যিই দেশের জন্য গর্বিত সন্তান প্রকৃত দেশ প্রেমিক, পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা আর দ্বিতীয় জন্ম নিবে না,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x