ঢাকাশুক্রবার , ২ এপ্রিল ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

ঈদগাঁওতে পাসপোর্ট দালাল শিমুলের বিরুদ্ধে ডিএসবি অফিসারের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

একুশে বার্তা
এপ্রিল ২, ২০২১ ৮:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাসপোর্ট দালাল ছৈয়দ আলম শিমুলের বিরুদ্ধে ডিএসবি অফিসের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছে একই ইউনিয়নের গজালিয়ার গোলাম বারির ছেলে মোজাম্মেল হক। অভিযুক্ত ছৈয়দ আলম শিমুল ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আউলিয়াবাদ এলাকার কালা মিয়া প্রকাশ বেত কালুর ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- গত ২৭ মার্চ সকালে তার ছোট ভাই বাবুল মিয়ার আবেদন পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করতে যায় কক্সবাজার ডিএসবি অফিসের সাব ইন্সপেক্টর বিলাল। সাব ইন্সপেক্টর বিলাল সাথে করে নিয়ে যায় সদরের চিহ্নিত পাসপোর্ট দালাল ছৈয়দ আলম শিমুলকে।

আলাপের এক পর্যায়ে ছৈয়দ আলম শিমুল তাকে একপাশে ডেকে নিয়ে কাগজপত্রে সমস্যা আছে বলে ৮হাজার টাকা দাবি করে। নতুবা পাসপোর্ট পাবে না হুমকি দিয়ে চলে আসে। আসার সময় গাড়ি ভাড়া বলে ৫শ টাকা নিয়ে বাকি টাকা সন্ধ্যার মধ্যে জোগাড় করতে বলে। তার কথা মতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসস্টেশনে তার আবার দেখা করতে গেলে টাকা জোগাড় করতে না পারায় হাতের মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। এতে বাদি শোর চিৎকার দিলে মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে পাসপোর্ট পেতে হলে দ্রুত টাকা জোগাড় করতে হবে সটকে পড়ে। এদিকে অভিযুক্ত ছৈয়দ আলম শিমুলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও পাসপোর্ট বিষয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম থাকতে সাজাও দিয়েছিল। এলাকার স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে নামে বেনামে মামলা ও অভিযোগ করে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। গজালিয়ার শামিনা বেগম থেকে মামলা দায়ের করিয়ে দিবে বলেও বহু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সে একজন ড্রাইভার হলেও বেশি ইনকামের লোভে পাসপোর্ট দালালীতে জড়িয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধায় বাসায় ফিরে।

বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে গোল চত্বরস্থ চায়ের দোকানে থাকে। মাঝে মধ্যে ফাইল নিয়ে পুলিশ সুপার অফিসের ডিএসবি শাখায় গিয়ে পরিচিত অফিসারদের নামে এন্ট্রি করে আসে। কাউকে পাসপোর্ট অফিসের সামনে দেখলে বিভিন্ন ছলে বলে ফাইল চেক করার নামে তাদের সাথে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে দ্রুত পাসপোর্ট করিয়ে দিবে বলে পাসপোর্ট অফিসের কথিত সমিতির জন্য ১৫শ, ডিএসবি অফিসের পছন্দনীয় অফিসারের নামে এন্ট্রির জন্য ১৫শ করে হাতিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় মাঠপর্যায়ে তার হয়রানি। এছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাসপোর্ট পায়ে দিতেও তার রয়েছে অসামান্য অবদান (!)। কেউ তার এসবের প্রতিবাদ করলে সে আর শান্তিতে থাকতে পারে না। এবিষয়ে ডিএসবি অফিসের সাব ইন্সপেক্টর বেলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-পুলিশ কখনো ঘুষ নেই না আমি কোন টাকা চার্জ করিনি। শিমুলের বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে পরে লাইন কেটে দেন। বার বার ফোন দিলেও আর ফোন রিসিভ করেন না অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ঈদগাঁও থানার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- তাহাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছে না। শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x