ঢাকাবুধবার , ১২ এপ্রিল ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

টেকনাফে ১০ দিন ধরে অপহরণ হওয়া স্কুল ছাত্রী’র খুজ মেলেনি

একুশে বার্তা ডেস্ক
এপ্রিল ১২, ২০২৩ ৭:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত উপজেলায় হ্নীলা ইউনিয়ন এর দরগাহ পাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা আলমের মেয়েকে স্কুল ছাত্রী মিতালী ফারজান মিশুকে তুলে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা যুবক খাইরুল নামের ব্যক্তি,তার বাবার নাম বশির আহমদ,তারা পুরাতন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।

একটি সুত্রে জানা গেছে,রোহিঙ্গা খায়রুল তার বাবা বশীর আহাম্মদ, নিজের ছেলে কে মামলা থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে, গত কিছুদিন আগে টেকনাফ ৭১ নামে একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে মেয়েটিকে জোরপূর্বক তাকে বাধ্য করিয়ে বলা হয়েছে, তার স্বামী খায়রুল তার সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল এবং তার মা’বাব তাকে মারধর করেছে, এরকম একটা অহেতুক মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছে, এ সমস্ত মন গড়া নিউজ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান ভুক্তভোগী আলম, নাটকীয়ভাবে মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য রোহিঙ্গা যুবক খাইরুল স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মিশুকে অপহরণ করে রেখেছে আজ ১০ দিন ধরে,তাকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু ঈদের পরপরই মেয়েটির এইচএসসি পরীক্ষা, তার পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তার বাবার কিছু শত্রু তার মেয়েকে অপহরণ রেখেছে, পাশাপাশি স্কুল থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হয়েছে, যেন মেয়েটি আবারও পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমানে সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা করে যাচ্ছে, সেই একজন ভাল ছাত্র হওয়ায় তার কিছু আলমের কিছু শত্রুরা ঈশ্বরিতভাবে তার মেয়েটিকে রোহিঙ্গা যুবকের দ্বারা অপহরণ করে রাখা হয়,এই বিষয় নিয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়,রোহিঙ্গা খায়রুলকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি এজাহার করা হয়।

সোমবার ( ৩ এপ্রিল ) বিকেল ৪ টা সময় এ ঘঠনা ঘটে ,মিতালী ফারজান মিশু স্কুল থেকে আসার পথে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ভাবে খাইরুল আমিন সহ কয়েকজন অজ্ঞতা নামা ব্যক্তি ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়,তবে এখনো খুজ মেলেনি মেয়েটির।

তথ্যসূত্রে জানা গেল খাইরুল আমিন,তার বাবার নাম বশির আহমদ, তারা বিগত ২০ বছর আগে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ এর টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া একটি বনভূমির জায়গায় দখল করে রাখেন,পরে তারা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে,খোজ খবর নিয়ে জানা গেল তাদের আত্মীয় স্বজন অনেকেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত,তারা মায়ানমার থেকে ইয়াবা এনে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে,
সাম্প্রতিক তাদের এক ভাগিনা আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি ইয়াবাসহ জেলে খাঠে, ওই রোহিঙ্গা পরিবারের একমাত্র ব্যবসা হল ইয়াবা।

ভুক্তভোগী বাবা মোহাম্মদ আলম জানান, আমার মেয়ে মিতালী ফারজান মিশু একজন হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী হয়, সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা,গত রবিবারে আমার মেয়ে স্কুলে আসার পথে বশির আহমেদের ছেলে খায়রুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি তাকে
দরগাহ প্রি ক্যাডেট এর স্কুল এর সামনে থেকে জোরপূর্বক ভাবে একটি টমটম গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়,কিন্তু আমরা তাকে এখনো পায়নি,আমরা এই বিষয় নিয়ে একটি টেকনাফ থানায় অভিযোগ করেছি,এই মুহুর্তে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, যেন আমাদের মেয়েকে আবারো ফেরত পায়,এবং সামনে তার পরীক্ষায় যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।

এই বিষয় নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ঘটনাটি সত্য আলম সাহেব এর দুইটি মেয়ে রয়েছে, তার মধ্যে ছোট মেয়েটি ক্লাস দশম শ্রেণীর ছাত্রী হয়,তাকে জোরপূর্বভাবে উঠে নিয়ে যায় ও রোহিঙ্গা খাইরুল নামে ব্যক্তি এখনো তাদেরকে খোঁজ পায়নি,তবে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ এর ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম জানান, ঘটনাটি আমার ওয়ার্ডে আমার এলাকায় হয়েছে,তবে তারা দুজনে ছাত্রছাত্রী একজনের বয়স (১৬)আরেক জনের বয়স(১৮)তবে তাদের বিয়ের বয়স এখনো হয়নি,তাই তাদের পরিবার চেষ্টা করতেছে তাদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরত এনে আবারো পড়াশোনা সুযোগ দেওয়া হয়।

এই বিষয় নিয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল হালিম জানান, আমাদের থানায় একটি এজাহার এসেছে আমরা সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x