ঢাকাসোমবার , ১৮ জানুয়ারি ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

মোটরবাইকের বাজার কাঁপিয়ে বাংলাদেশে আসতে চায় ‘রয়েল এনফিল্ড’

একুশে বার্তা
জানুয়ারি ১৮, ২০২১ ৭:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বার্তা ডেস্ক:
বাংলাদেশে আসতে চলেছে যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ‘রয়েল এনফিল্ড’। ইফাদ অটোস এর হাত ধরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এই বিখ্যাত মোটর বাইক ব্র্যান্ডটি।

‘রয়েল এনফিল্ড’ নামটি শোনা মাত্রই চোখের সামনে একটি মোটর বাইক ভেসে উঠে যেটি ক্ল্যাসিক লুকস, রেট্রো ডিজাইন ও সাউন্ডের কারণে পৃথিবী বিখ্যাত। বিশেষ ভাবে রয়েল এনফিল্ড এর ক্ল্যাসিক ডিজাইনের কারনে অনেকের কাছেই পছন্দের। এদিকে বাংলাদেশে ৩৫০সিসি এর অনুমতি পেতে যাচ্ছে এটি।
রয়েল এনফিল্ড এর তিনটি মোটরসাইকেল রয়েছে ৩৫০সিসি ক্যাটাগরিতে। এই তিনটি হচ্ছে রয়েল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০, রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ এবং এনফিল্ড ক্ল্যাসিক ৩৫০ । এই বাইক গুলোর লুক-ডিজাইন সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ তিনটি বাইক।
এনফিল্ড ক্ল্যাসিক ৩৫০: বাইকটির ইঞ্জিন ৩৪৬সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর স্ট্রোক, এয়ারকুল্ড ফুয়েল ইঞ্জেকশন ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ 19.1 bhp-5250 rpm এবং 28 Nm-4000 rpm শক্তি উৎপন্ন করতে সম্ভব। এতেই বোঝা যায় এর ইঞ্জিনের সক্ষমতা। এছাড়া এই বাইকটি ডিজাইন সম্পূর্ন ভাবে ক্ল্যাসিক স্টাইলে রাখা হয়েছে।

রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০: এই বাইকটিতে রয়েছে বাইকটির ইঞ্জিন হচ্ছে ৩৪৬সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর স্ট্রোক, এয়ারকুল্ড ফুয়েল ইঞ্জেকশন ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে 19.1 bhp-5250 rpm এবং 28 Nm-4000 rpm পরিমান শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকটি দুটি ভার্সন রয়েছে। একটি কিক স্টার্ট, অপরটি কিক এবং ইলেক্ট্রিক উভয়ই।
রয়েল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০: বাইকটি অন্য দুটি বাইকের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এর ইঞ্জিন হচ্ছে ৩৪৯সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর স্ট্রোক, এয়ার – ওয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। এর ইঞ্জিন থেকে 20.1 BHP-6100 rpm এবং 21 NM-4000 rpm পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। বোঝাই যায় বাইকটি অপর দুটি বাইক থেকে কিছুটা শক্তিশালী। এর ডিজাইন কিছুটা ক্রুজিং ধরণের। বলা যায় একে ক্রুজার হিসেবেই ডিজাইন করা হয়েছে।
অবশ্য সবকিছু নির্ভর করবে মোটরসাইকেল বাজারে ছাড়ার সিসি (ইঞ্জিন ক্ষমতা) সীমা তুলে নেওয়ার ওপর। বাংলাদেশে ১৬৫ সিসির ওপর মোটরসাইকেল বাজার ছাড়ার সুযোগ নেই। অবশ্য এ বিধিতে সংশোধন নিয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সবার সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের জন্য প্রযোজ্য আমদানি নীতিতে সরকার প্রথম মোটরসাইকেলের সিসি সীমা ১৫০ থেকে ১৬৫–তে উন্নীত করে। এবার সিসিসীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কারও অবস্থান বিপক্ষে। কেউ কেউ পক্ষে। কেউ কেউ চায়, এ সীমা আরও কয়েক বছর থাকুক।
তিনটি কোম্পানির লিখিত মতামত অনুযায়ী, জাপানের সুজুকি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী র‌্যানকন মোটর বাইকস লিমিটেড সিসি সীমা তুলে দেওয়ার পক্ষে। রানার অটোমোবাইলসও এই সীমা তুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়ে বলেছে, তাদের ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল তৈরির অনুমোদন আছে। তারা ২০০ সিসির মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে। জাপানের আরেক ব্র্যান্ড কাওয়াসাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গত ৫ ডিসেম্বর একটি চিঠি দিয়ে বলেছে, তারা বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়। এ জন্য সিসি সীমা ২৫০–এ উন্নীত করার আবেদন করছে তারা।
অবশ্য পক্ষে নয় হিরো। এ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী এইচএমসিএল নিলয় বাংলাদেশ লিমিটেড বলেছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনবিশিষ্ট মোটরসাইকেল চালানোর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেশে বলবৎ নেই।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএএমএ) ২০২৫ সাল পর্যন্ত সিসি সীমা বহাল রাখার পক্ষে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x