কক্সবাজারে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলাঃ মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট

জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটাস্থ আইবিপি রোড এলাকায় জেলা ট্রাক-লরী ও কাভার্ডভ্যান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজ।

সমিতির তালিকাভুক্ত যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আইবিপি মাঠ কেন্দ্রিক শহরের একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মালামাল বোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চালকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিহ্নিত চাঁদাবাজ পশ্চিম লার পাড়া এলাকার মো কালুর নেতৃত্বে তার সগযোগী আবুল কালাম, ইকবাল হোছাইন, নাগু, সেলিম, সুমন, পটনসহ ২০/২৫ জনের একটি দল প্রতিদিনের ন্যায় বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছিলো। এসময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার ট্রাক-লরী ও কাভার্ডভ্যান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাভুক্ত ট্রাক (ঢাকামেট্রো-২২-২০১৯) এর চালক মোঃ ছৈয়দ হোছনকে জিম্মি করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদাবাজ চক্রটি তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধারালো দা, কিরিচ, চুরি, লোহার রড, হাতুড়ি, বিভিন্ন প্রকার লাঠিসোটা ও অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কক্সবাজার জেলা ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা অফিসের চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে মুল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করে আনুমানিক দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এসময় অফিসে উপস্থিত পিয়ন মোঃ ওয়াহিদ (২৮), ও সংগঠনের শ্রমিক সদস্য নুরুল হক (৬০) প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে মারধরপূর্বক খুন করার হুমকি প্রদান করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশে খবর দিলে তা বুঝতে পেরে হামলাকারীরা দ্রুত সরে পড়ে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেন, চাঁদাবাজরা চাঁদা উত্তোলন করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ায় অফিস ভাংচুর চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত আবুল কালাম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।