নিজস্ব প্রতিনিধি:
পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৫০ পরিবারের চলাচলের ৱাস্তা বন্ধ করে জোরপূর্বক কাঁটাতারের দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ। উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নেৱ ৫নং ওয়ার্ডস্থ সুতাবাদী এলাকাৱ মুসলিম পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় ফাইতং পুলিশ ফাঁড়িতে চলাচলের ৱাস্তা বন্ধ করে কাঁটাতারেৱ দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ প্রদানের পরেও মিলছেনা সূরাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাইতং ইউনিয়নের সুতবাদি এলাকায় মনজুর আলম চৌধুরীর মালিকানাধীন বাগানের সীমানা ঘেঁষে অসহায় দিন মজুর ও ইটভাটার শ্রমিকসহ ৫০ টি পরিবার দীর্ঘকাল যাবত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল। তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা স্বার্থের লোলুপ দৃষ্টিতে স্থানীয় আবু তালেবের পুত্র হাসেম, মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র নুরুল হক, মৃত গুৱামিয়াৱ পুত্র সলিমুল্লাহ, নুরুল হকের পুত্র শহীদ সর্বসাং সুতাবাদী পাঁচ নং ওয়ার্ড রাস্তার মাটি কেটে জোরপূর্বক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেন। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ চলাচলে চরম বেগ পোহাতে হচ্ছে।
বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেৱ চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য যুবাইৱকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু হাসেম গং অমান্য করে বরাবরের মতো কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণেৱ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বোরহান সওদাগর বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের সুতাবাদী এলাকায় মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র নুরুল হক রাজত্ব কায়েম করার জন্য নিজস্ব লাঠিয়াল নিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় অধিকতর লোকজন নিরীহ ও অসহায় দিনমজুর হওয়ায় সহজে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের কেউ বিরোধিতা করলে তার ওপর চড়াও হয়ে যায়। ঠিক তদ্রূপ চলাচলের পথ বন্ধ করে কাঁটাতারেৱ দেয়াল নির্মাণ কাজের প্রতিবাদ করলে ওই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ রোস্তম ও মন্টু শিকদারকে মারধর করে এবং বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। চলাচল পথ জটিলতা নিরসনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না আসলে যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকট।
চলাচলের ৱাস্তা বন্ধ করে জোরপূর্বক কাঁটাতারের দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদেৱ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করাৱ অধিকাৱ কাৱো নেই এবং বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য যুবাইৱকে নির্দেশনা দেয়াৱ পরও হাসেম অমান্য করে কাজ অব্যাহত রাখার কারণে আমি নিজেই সরেজমিন উপস্থিত হয়ে কাঁটাতাৱ উঠিয়ে নেয়াৱ জন্য কঠোৱভাবে বলা হয়েছে। পরবর্তী অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।