খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

মাদারীপুরে উপজেলা রিসোর্স টিম (ইউআরটি) সদস্যগণদের সাথে ২ দিন ব্যাপি গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
মাদারীপুরে উপজেলা রিসোর্স টিম (ইউআরটি) সদস্যগণদের সাথে ২ দিন ব্যাপি গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

মাদারীপুর জেলায় পৌরসভা সভা কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ,স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্রণালয়, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৫ টি উপজেলার উপজেলা রিসোর্স টিমের সদস্যগণদের সাথে ২ দিন ব্যাপি অর্থাৎ ১৬-১৭ এপ্রিল/২০২৫ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলার সন্মানিত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: ইয়াসমিন আক্তার,প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন স্থানীয় বিচার ব্যবস্থায় গ্রাম আদালত একটি জনপ্রিয় ও শক্তিশালী আদালত। এই গ্রাম আদালতে এখন সর্বোচ্চ ৩,০০০০০/- তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সমাধান করতে পারে। এখানে ফৌজদারি মামলার ফি ১০/- দশ টাকা ও দেওয়ানী মামলার ফি ২০/ বিশ টাকা  এই নাম মাত্র টাকা খরচ করে সর্বোচ্চ ৩,০০০০০/- তিন লক্ষ টাকা মূল্যমানের সমাধান পাওয়া যায়। তিনি আরো অবহিত করেন এই গ্রাম আদালতকে কার্যকর করার মূল উদ্দেশ্য হলো উচ্চ আদালতের মামলার জট কমানো। ইউআরটি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে এসেছেন,তাই আপনারা এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর আপনাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলায় গ্রাম আদালতের উপর যে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে আপনারা রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত থেকে সেশন পরিচালনা করবেন এবং গ্রাম আদালত সম্পর্কে সকল অংশগ্রহণকারীদের মাঝে   ধারণা দিবেন। উক্ত প্রশিক্ষণ সকলে মনোযোগ সহকারে গ্রহণ করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রশিক্ষণের সমাপনী ঘোষনা করেন। উক্ত প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ ও সংশোধনী আইন ২০২৪ এবং বিধিমালা ২০১৬ নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন মো: আবদুল মান্নান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া প্রশিক্ষণের সূচি মোতাবেক বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ডিআরটি সদস্য জনাব মুহাম্মদ হাবিবুল আলম, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ,জনাব জাহাঙ্গীর  আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জনাব মো: মাইনুদ্দিন সরকার, উপপরিচালক, সমাজসেবা, জনাব সানোয়ারা বেগম, উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন।  উক্ত প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা সার্বিক সহযোগিতা করেন জনাব মো: আলিউল হাসানাত খান, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার এভিসিবি-৩ প্রকল্প, মাদারীপুর। উল্লেখ্য মাদারীপুর জেলার ৫ টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), অফিসার ইন চার্জ, সমাজসেবা অফিসার, যুব উন্নয়ন অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জন ইউআরটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।উক্ত প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন মাদারীপুর জেলার ডাসার ও কালকিনি উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাসির উদ্দিন লিটন,শিবচর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর পপি আক্তার,মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর শারমিন সুরভী।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।