খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

মধ্যপাড়ায় রেলওয়ের লিজকৃত জমি জবর দখলের পাঁয়তারা: সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
মধ্যপাড়ায় রেলওয়ের লিজকৃত জমি জবর দখলের পাঁয়তারা: সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ

দিনাজপুর পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন রেলওয়ের লিজকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মধ্যপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০০৯ সালে তিনি রেলওয়ের নিকট থেকে বৈধভাবে ৩ একর ২৩ শতক পরিত্যক্ত জমি লিজ নিয়ে সেখানে আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলদ গাছ রোপণ করেন। গত ১৫ বছর ধরে নিজ খরচে জমিটি পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, “গত চার বছর ধরে একটি প্রভাবশালী মহল, বিশেষ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী, আমার বৈধভাবে লিজ নেয়া জমি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় আমি জমির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাই। তবে বর্তমানে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, বিশেষ করে কানুনগো এবং কাগজপত্র বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিরা আবারও জমিটি অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই জমির উন্নয়নে আমার বছরের পর বছর পরিশ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তার স্বার্থে যদি এই জমি হাতছাড়া হয়, তবে আমার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন: পূর্বের বৈধ লিজ বহাল রাখা, রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, জমি অন্য কাউকে বরাদ্দ না দেওয়া এবং
শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে ভোগদখলের নিশ্চয়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, “আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ন্যায়বিচার এবং আমার স্বপ্নের নিরাপত্তা চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল হক বলেন, “প্রায় ১২ বছর ধরে সাজ্জাদ ভাইয়ের জমিতে কাজ করছি। এখান থেকে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাকে পুনরায় লিজ দেওয়া হোক।”

আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, “এই পরিত্যক্ত জমিতে সাজ্জাদ হোসেন আমবাগান গড়ে তুলেছেন। গাছগুলো এখন ১০-১২ বছরের, ফল আসতে শুরু করেছে। সরকার যেন এই লিজ পুনরায় তার নামে বহাল রাখে, এটাই আমাদের দাবি।”

এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য পাবনার পাকশী রেলওয়ের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭১১ ৬৯ ২৮৬৯ নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।