দুমকীতে পরকীয়ার ফাঁদ, অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রবাসী স্ত্রীর বিরুদ্ধে

পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে পটুয়াখালীর দুমকীতে বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে অন্তত: ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জননী শামিমা আক্তার আঁখি নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
অভিযুক্ত আঁখি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আমির হোসেন হাওলাদারের মেয়ে এবং আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী মোশাররফ হোসেন খান লিটনের স্ত্রী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দু‘বছর পূর্বে উপজেলার দুমকী সাতানী গ্রামের রাকিব হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যের ছেলেকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন শামীমা আক্তার আঁখি। এসময় নগদ ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ঠিক একই কায়দায় চলতি বছরের মার্চ মাসে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো: জুয়েল হাওলাদারকেও পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন তিনি। স্থানীয় সালিশদের মধ্যস্থতায় এবছরের ৮ মার্চ তারিখে রোয়েদাদের মাধ্যমে নগদ আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হলেও পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জুয়েল হাওলাদার ও সালিশবর্গের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন আঁখি। এছাড়াও ছেলে মেয়ের প্রাইভেট টিউটর পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জলিশা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও হাসিনুর রহমান নামের ২ যুবককে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের দাবি, স্বামী প্রবাসী হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাসা নিয়ে পুরুষদের পরকীয়ার জালে আটকে বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকদের টার্গেট করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন আঁখি।
প্রতারণার শিকার রাকিব হাওলাদারের নামের ওই যুবকের ভাষ্য, প্রেমের অভিনয় করে পরকীয়ার ফাঁদে জড়িয়ে তার ২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আঁখি। সেই টাকা দিতে গিয়ে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে তার পরিবারকে অনেক অপদস্তও হতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপর ভুক্তভোগী জুয়েল হাওলাদারের ভাষ্য, বেপরোয়া এই নারীর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে মান সম্মানের ভয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা গুনতে হয়েছে তাকে। তবুও মিথ্যা-বানোয়াট নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মুঠোফোনের কল কেটে দেন শামীমা আক্তার আঁখি।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো: ইমতিয়াজ হোসেন সকালের শিরোনামকে বলেন, শামীমা আক্তার আঁখির একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।