ঢাকাশুক্রবার , ২২ এপ্রিল ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

কক্সবাজারে স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক সন্তান প্রসবের অভিযোগে আদালতে মামলা

একুশে বার্তা ডেস্ক
এপ্রিল ২২, ২০২২ ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ নুরুল হোসাইন,কক্সবাজার:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ০২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল এলাকার মর্জিনা বেগম নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ডেলিভারি করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।

গত গত ২০ এপ্রিল কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনসুর সিদ্দিকীর আদালতে হাজির হয়ে একই এলাকার নুর মোহাম্মদ মেয়ে শাহিনা আকতার (২৬) বাদী হয়ে ওই এলাকার স্বাস্থ্যকর্মী আজগর আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৯) ও ছৈয়দ আলমের স্ত্রী হাবিয়া খাতুন (৪৫) এর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারী দরখাস্ত করেন।

বাদীনির আদালতে জমা দেওয়া ফৌজদারী দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, বাদীনি অন্তঃসত্ত্বা হইয়া পড়িলে স্থানীয় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চেকআপ করেন। সেখানকার ডাক্তার বাদীনিকে সম্ভাব্য সন্তান প্রসবের তারিখ উল্লেখ করেন ২০/১১/২০২১। কিন্তু আসামী একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে উপজেলা এলাকায় একটি ক্লিনিক খোলে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ধাত্রী বিদ্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে নরমাল ডেলিভারি করা হয় মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়েছে,সে সুবাদে আসামী বাদীনির প্রতিবেশি হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বার খবর নিতে আসামী বাদীনির বাসায় গিয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ইচ্ছেকৃত ভাবে নরমাল ডেলিভারির স্থলে সিজারিয়ান ডেলিভারি করেন কিন্তু আসামী নরমাল ডেলিভারি করে দিবে মর্মে আসামী বাদীনিকে আশ্বস্ত করেন।

ঘটনার দিন ০৯/১১/২০২১ ইং তারিখ সকাল ০৯ টার সময় আসামীর ক্লিনিকে নিয়ে বাদীনিকে সময়ের আগে জোর পূর্বক বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে বাচ্চার মাথার পিছনের রগ ছিঁড়ি গিয়ে গুরুত্ব আহত হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় বাচ্চা প্রসবিত হয়।পরবর্তীতে প্রসবিত শিশুকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ জানান,এই শিশু কোনদিন সুস্থ ও স্বাভাবিক হবে না। কারন বাচ্চা প্রসবের সময় স্বাস্থ্যসেবিকার অদক্ষতার কারনে বাচ্চার মাথার পিছনের অনেকগুলো রগ ছিঁড়ে যায়।এমতাবস্থায় আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বাদীনি।

গত ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উক্ত আদালত বাদীনির আবেদন গ্রহণ করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এফআইআর গ্রহণ পূর্বক তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন এবং অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স ও সরকারি বৈধতা আছে কি না যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x