খুঁজুন
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ়, ১৪৩২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এই কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মোমেন খন্দকার অপি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ সাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১২ ডিসেম্বর তাঁর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
নিয়োগের সময় তাঁর স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ওই নিয়োগ বাতিল ও অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘ইউনিভার্সিটি অব রাজশাহী’তে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ – মেয়ের

মোঃ মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে  পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ – মেয়ের

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় কালীগঞ্জ ইউনিয়নে  মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবা আবুল কাশেমকে গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কান্তার মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার নাগেশ্বরীর কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কান্তার মোড় এলাকার কাশেম আলী তার বিবাহিত মেয়েকে শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িত এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে বাবা (কাশেম আলী) পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, তার বাবা তাকে শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িত এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় মেয়েটি তার বাবাকে বাধা দিয়ে ছিলেন। আকুতি জানিয়ে বলেছিলেন, বাবা হয়ে আপনি কিভাবে আমার সঙ্গে এ কাজটি করছেন। তোমার ইচ্ছে হলে আরও একটি বিয়ে করতে পারো। আমার সঙ্গে এমন খারাপ কাজ করো না। তাও আমার পাষণ্ড পিতা আমার ইজ্জতের ক্ষতি করে। আমি আমার বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে আর কোন বাবা এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বেলাল উদ্দিন ব্যাপারি, কদম আলী, আমিনুল ইসলাম, শাহাআলমসহ অনেকে। দ্রুত মামলা এবং আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।

এবিষয়ে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল আলম  জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মাদারীপুরে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত “

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
মাদারীপুরে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত “

জেলা প্রাশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোছা: ইয়াসমিন আক্তার, জেলা প্রাশাসক ও বিজ্ঞা জেলা ম্যাজিস্টেট। জেলা প্রাশাসক তার আলোচনায় বলেন গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় এখন ভালো ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে ৫৯ টি ইউনিয়নের হিসাব সহকারী/ ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ৪ দিনের ২ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় তাদের ডকুমেন্টশনের মানও পূর্বের তুলনায় ভালো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন চেয়ারম্যানরা নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করতে পারে তাই সকল ইউনিয়নে এজলাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেখানে এজলাস নেই সেখানে এজলাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল চেয়ারম্যানকে নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করতে হবে। ভিসিএমসি কমিটির সদস্য যারা আছেন তারা নিয়মিত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  উক্ত সভার সদস্য সচিব জনাব মুহম্মদ হাবিবুল আলম, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত অনেক মামলা সালিশ করা হয় যার ফলে মামলা গ্রহণ তুলনা মূলক কম। তাই গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত মামলা যাতে সালিশ না করে তা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন প্রতি মাসে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে অন্যান্ন কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের নথি ও রেজিস্ট্রার দেখা হয় এবং আরো ভালো ভাবে করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। সদস্য সচিব তার বক্তব্যে বলেন বিগত ৩ মাসে ৫৯ টি ইউনিয়নে মোট ৩৬৯ টি মামলা দায়ের হয়েছে প্রতি মাসে প্রতি ইউনিয়নে ২.০৮℅ করে। এর মধ্যে জেলা আদালত থেকে ১২ টি মামলা গ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন গ্রাম আদালতের উপর আস্থা আছে বিধায় উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে মামলা প্রেরণ করা হচ্ছে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম গতিশীল রাখার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য উক্ত মিটিংএ বিগত ৩ মাসের কার্যক্রম নিয়ে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন জবাব মো: আলিউল হাসানাত খান, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, এভিসিবি-৩ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার শাখা, মাদারীপুর ।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জাহিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
১৬/০৬/২০২৫ তারিখ সোমবার সকাল ১১টায় বোচাগঞ্জ শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৯ জুন সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শিশিরের উপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিলম্ব এবং মূল অভিযুক্ত ফয়সাল মোস্তাকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান ওসি হাসান জাহিদ। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, বোচাগঞ্জে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটলেও ওসি হাসান জাহিদ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না। বরং, সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নওশাদ আলী, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে ওসির অপসারণের জোর দাবি জানান।
স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন, ওসি হাসান জাহিদ এবং তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ফয়সাল মোস্তাকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ এবং গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকি, সাধারণ মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ওসি হাসান জাহিদ জানান, শাহরিয়ার শিশিরের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া, তিনি দাবি করেন যে, তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলেছেন তারা অবৈধ সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কর্মসূচি আয়োজন করেছেন। মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এই পরিস্থিতিতে বোচাগঞ্জ থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা ওসি হাসান জাহিদের দ্রুত অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।