পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ে ছাই ৫টি ঘর ও ২টি দোকান

পটুয়াখালীতে পুড়ে ছাই হলো ৫টি ঘর ও দুটি দোকান। ছবি সাকিব হোসেন
পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি বসতঘর ও দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে শহরের জুবিলী স্কুল সড়কে মনসা মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের সঙ্গে সহায়তা করে সদর থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন জয়ন্ত রায় (৩০), নির্মল কর্মকার (৬০), রিপন কর্মকার (৪৬), ধীমান কর্মকার (৫১), বাবুল চন্দ্র শীল (৫০) ও বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৫)। এ ছাড়া, আগুনে নিকুঞ্জ সোনা ঘর ও শ্যামল আর্ট নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুন লাগায় মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের জীবনের যতটুক সঞ্চয় ছিল কিছুই নেই। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সারা জীবনের সঞ্চয় সার্টিফিকেটসহ ল্যাপটপ পুড়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন কুমার দাস বলেন, ‘এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আগে দেখিনি। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, নাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতো।’
ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল চন্দ্র শীলের কন্যা অর্পিতা রানী শীল বলেন, ‘আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এই আগুন আমাদের স্বপ্ন, আশ্রয় সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’
পটুয়াখালী আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়।’
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘খবর পেয়ে চারটি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।’ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল চন্দ্র শীলের কন্যা অর্পিতা রানী শীল বলেন, ‘আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এই আগুন আমাদের স্বপ্ন, আশ্রয় সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’
পটুয়াখালী আনসার সহকারী উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়।’
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘খবর পেয়ে চারটি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে।’