শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, পবিপ্রবি কর্মকর্তার প্রতিবাদ
২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইদুর রহমান জুয়েল জড়িত ছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুয়েল। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে দুমকি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় দুই বছর আগে। এতদিনেও কোনো পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ বা প্রমাণ উপস্থাপিত হয়নি। আমি শুধুমাত্র নির্ধারিত কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করেছি। কেন্দ্র পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ছিল প্রশাসনিক, এতে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না।”
তিনি আরও জানান, “আমি কখনো কোনো পরীক্ষার প্রশ্নের ছবি তুলি নাই, বাইরে পাঠাই নাই, কিংবা কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম না।”
সংবাদে উল্লেখিত স্ক্রিনশটের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, সেগুলো মনগড়া ও ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি বিভ্রান্তিকর উপকরণ হতে পারে। তিনি বলেন, “প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জুয়েল জানান, পবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন এবং এখনও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের পক্ষে রয়েছেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানিয়েছেন।


মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)