ঢাকাসোমবার , ২ আগস্ট ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

মহেশখালী পৌর কাউন্সিলের সম্মানী ভাতা আটকে রেখেছে মেয়র!

একুশে বার্তা
আগস্ট ২, ২০২১ ৯:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ নেজাম উদ্দিন,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড় কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ গত ৩বছর ধরে পৌরসভা থেকে সম্মানী ভাতা না পাওয়ায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়ার বিরোদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১ আগষ্ট) অভিযোগপত্রটি জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পৌর কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ।
তিনি জানান, বিগত ৩বছর আমাকে পৌরসভা থেকে সম্মানী ভাতা দিচ্ছেনা মেয়র মকসুদ মিয়া । আমি পৌরসভার বিভিন্ন অপকর্ম ও নানা অনিয়মের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার সম্মানী ভাতা দিচ্ছে না । পৌর মেয়র স্থানীয় বাজার ইজারা না দিয়ে সরকারি খাস কালেকশন বলে নিজের হাতে রেখেছে। কোন কাজে টেন্ডার ইস্যূর সময় কাউকে না জানিয়ে নিজের মতো করে যে কোন কাজ নিজের হাতে রেখে কাজ চালান। এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলায় আমাকে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকবার মারধরসহ সম্মানহানী করেছে এবং আমাকে পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত রেখেছে।
তিনি আরো জানান, আমি পৌর ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়াতে তার সহ্য হচ্ছেনা কারণ সে জামায়াত থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করে আমাদের মতো তৃনমুল আওয়ামী সদস্যদের নাজেহাল করছে। আমি এর সুষ্ট বিচার দাবি করছি ও আমার প্রাপ্য সম্মানী পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
বর্তমান পৌর মেয়র মকসুদ মিয়ার ছেলে ইয়াবার সাথে সম্পৃক্তা আছে বলেও লিখিত অভিযোগে জানানো হয়।
মহেশখালী পৌরসভার দায়িত্বরত সচিব নুর মোহাম্মদের কাছে কেন কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহকে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি মেয়রের সাথে কথা বলতে বলেন।
মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়াকে এব্যাপারে জানতে মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, তিনি মিটিং এ আছেন।
এদিকে গত নির্বাচনের সময় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান ও মাদক ব্যবসায়ী বলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। আর এ কারণেই নির্বাচনে তার আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল।
এরপরেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নৌকা প্রতীক নিযে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের আগে এই বছরের ১৬ মার্চ মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের যৌথ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান বলেছিলে, কক্সবাজার জেলার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় ২২ নাম্বারে অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী, চিহ্নিত রাজাকার হাশেম শিকদারের ছেলে, মাদক ব্যবসায়ী, কালোবাজারি, ভূমিদস্যু মকসুদকে গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড মহেশখালী পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তখন প্রচার হওয়ার পর তারা সংবাদ সম্মেলন করে। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মকসুদের পিতার মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ কর্মকাণ্ড, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ সকল অপকর্ম সবাই জানে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমানও।

তিনি বলেন, মকসুদের পিতাসহ একই পরিবারের মোট নয় জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজহারভুক্ত আসামি। পারিবারিকভাবে তারা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। যার সত্যতা ও তাদের অপকর্ম ওই এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকেই তথ্য নিলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি একজন স্বীকৃত রাজাকারের ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ীকে দলীয় মনোনয়ন দেয় তবে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক বলে জানান সে সময়।
পৌর মেয়র মকসুদ মিয়া ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন্। এবং ২০২১ সালে এপ্রিলে হওয়া নির্বাচনে আবারো নৌকা প্রতীক পেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি রাজাকারপুত্র আখ্যায়িত করে মনোনয়ন বাতিলের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x