ঢাকাশনিবার , ৩ এপ্রিল ২০২১
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

মহেশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলে নিতে মরিয়া ভূমিদস্যুচক্র

একুশে বার্তা
এপ্রিল ৩, ২০২১ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহেশখালীর হোয়ানক পানিরছড়া এলাকায় একটি কুচক্রি মহল পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের মালিকানাধীন জমি জবরদখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই এলাকার শাহাদাত কবির ওরফে কালা বাচ্ছু ও কাইছার নামক দুই ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জনৈক প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের ১৯৮৪ সালে ক্রয়কৃত মালিকানাধীন বসত-ভিটার এক খন্ড জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরে ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কায়দায় তাÐব চালিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
প্রবাসী নুরুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, গত ১ মার্চ ভোর ৬ টায় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে তার বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং বসতবাড়িতে থাকা গাছ কেটে ফেলে। সেখানে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে একটি টং ঘর নির্মাণ করে দেয়।

ওই সময় বাঁধা দিতে চাইলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিন, স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, পুত্রবধু কামরুন্নাহার, মুর্শিদাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ওই ঘটনার সময় মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাইকে অবগত করা হয়। তিনি অভিযোগ আমলে নিয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ওইদিন পুলিশ প্রশাসন চলে গেলে আবারও এসে টং ঘরে অবস্থান করে বহিরাগতরা।

এ ঘটনায় জমির মালিক প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিন বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) মোঃ মাহবুব আলম (৪৫) ও মোঃ ছাদেকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০১/৫২। ঘটনাটির বিষয় নিয়ে উত্তেজনা এড়াতে নুরুল আমিনের পরিবারসহ চট্টগ্রামের পুলিশের ডিআইজি, কক্সবাজার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ই মার্চ) মহেশখালীর সার্কেল এএসপি জাহেদুল ইসলাম ঘটনার তদন্তে গেলে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে আসামী ছৈয়দ হোসেন ওরফে ড্রাইভার সৈয়দ হোছন নামে এক সন্ত্রাসী ও তার বড় বোন সোনা খাতুন সাংবাদিকদের সাথে অখ্যাত ভাষায় আচরণ করে। একই দিন পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে প্রবাসী নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিনের উপর ফের হত্যা চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা এবং নুরুল আমিনের ছেলে ইসলামি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তফা ছাদেক আরমানকে গতিরোধ করে চাঁদা দাবী করে এবং গুম করার চেষ্টা চালায়।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩১ মার্চ মহেশখালী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন কুতুবউদ্দিন। যার মামলার নং- জিআর ২৫/৭৬।
এদিকে থানায় মামলা এবং অভিযোগ দেয়ায় চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে আসামীরা। প্রতিনিয়ত তাদের মামলা তুলতে হুমকি এবং মারধর করার অভিযোগ তুলছেন নুরুল আমিন ও কুতুব উদ্দিনের পরিবার। তারা এই ঘটনার বিষয়ে জীবনের নিরাপত্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x