পেকুয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, অস্ত্র, পুলিশের উপর হামলা, হত্যাচেষ্টা ও বন মামলাসহ ৩৪ মামলার আসামী জাফর আলম প্রকাশ ডাকাত জাফরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলার ঝুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি একই এলাকার মৃত ডাকাত নজির আহমদের ছেলে ও কথিত বনের রাজাখ্যাত ডাকাত জাহাঙ্গীর আলমের পিতা।
স্থানীয়রা জানান,ডাকাত জাফর আলমের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সালমা হত্যা, নিরহ নেজাম উদ্দিনকে হত্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনছার হত্যাচেষ্টা, পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র উদ্ধার মামলা ও বন মামলাসহ ৩৪টির অধিক মামলা চলমান রয়েছে। সদ্য সালমা হত্যা মামলায় কারাভোগ করে বের হয়েছেন।
এছাড়াও তার বড় ছেলে ডাকাত জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনের রাজা জাহাঙ্গীর অস্ত্র আইনে বর্তমানে জেলে থাকলেও বেশ কয়েকটি হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও বন মামলার আসামীর তালিকায় রয়েছেন। ছোট ছেলে আলমগীরও সদ্য দুইটি হত্যা মামলায় জেলে রয়েছে। এছাড়াও তার পরিবারের মহিলা ও পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।
ডাকাত জাফর আলমের পরিবারের দাবী, মামলার হাজিরা দিয়ে আসার পথে সন্ধ্যায় ছনখোলার ঝুম এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের দাবী, ডাকাত জাফর দীর্ঘদিন ডায়বেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভোগছেন। সে গত কয়েকমাস আগে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এলাকায় গরু-চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। গরু-ছাগল চুরি রোধে এলাকায় পাহারা বসালে বিগত মাস দুয়েক আগে মিরাজ নামে এক চোরকে হাতে-নাতে পাকড়াও করে। ধৃত চোর মিরাজ একই এলাকার নন্না মিয়ার ছেলে। চোর মিরাজ তখন এলাকাবাসীকে জানায় ডাকাত জাফরের প্ররোচনায় এবং সহযোগিতায় এ চুরি কাজে জড়িয়ে পড়ে। এবং সেদিনেও ডাকাত জাফরের নির্দেশে ছাগল চুরি করতে গিয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা আরো জানান, ছনখোলার ঝুম এলাকায় কোন রকমের মারামারির ঘটনা ঘটেনি। প্রতিপক্ষের লোকজনকে মিথ্যাভাবে আসামী করতে হত্যার মত ঘটনা সাঁজানো হচ্ছে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শরীরে কোন ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলা যাচ্ছেনা।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।