ঢাকাসোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

পেঁয়াজ: সংকট কাটাতে বাংলাদেশের সরকার কি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেরেছে?

একুশে বার্তা
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী নিষিদ্ধ করার একদিন পরই বাংলাদেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে।

কেজি প্রতি ৮০ টাকায় যে পেঁয়াজ রবিবার ঢাকার বাজারে বিক্রি হয়েছে, সোমবার তা অনেক বাজারে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে ক্রেতারা জানাচ্ছেন।

মূলত পেঁয়াজের দাম গত এক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে বাংলাদেশে।

আর এসবই হয়েছে ভারত কয়েক দফায় পেঁয়াজ রপ্তানীতে বিধিনিষেধ আরোপ করার পর থেকে।

খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বাজারে কেজি প্রতি এই পণ্য ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানী নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বিকেলের পর থেকেই বাংলাদেশে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।

বাংলাদেশ নিজেই বিপুল পরিমান পেঁয়াজ উৎপাদন করে। কিন্তু দেশটিতে পেঁয়াজের দাম কী হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে এর আমদানী মূল্যের ওপর – এক কথায় ভারতে পেঁয়াজের দাম ঠিক কী, তার ওপর।

পেঁয়াজের ক্ষেত্রে যে একটি সংকট হতে যাচ্ছে সেটি মোটামুটি স্পষ্ট হয়েছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই, যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানীতে আগের তুলনায় বেশ উঁচুতে ন্যূনতম মূল্য বেধে দিয়েছিল।

আর সে কারনেই প্রশ্ন উঠেছে যে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে সরকার কি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেরেছে?
নিজস্ব উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত থেকে বেশ বড় পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানী করে থাকে বাংলাদেশ।

কিন্তু উৎপাদন ঘাটতির কথা জানিয়ে ১৩ই সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৩০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ন্যুনতম ৮৫০ ডলার করে দেয়। এরপর রবিবার দেশটি পেয়াজ রপ্তানি করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

বলা যেতে পারে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল বাংলাদেশে পেঁয়াজ সরবরাহ পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, ১৩ তারিখের পর থেকেই তারা বানিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ন কবির বলেন, ঢাকাতে তারা ৩৫টি ট্রাকে নির্দিষ্ট দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আর পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়াতে ভারতকে তারা প্রাধান্য দেন আমদানির ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, “পচনশীল পণ্য সাধারণত পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কারণ দুরের দেশ থেকে আনতে গেলে ফ্রিজিং কন্টেইনার লাগে বা পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য আমরা ভারত এবং মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করি। বেশিরভাগ অংশ আসে ভারত থেকে”।

কিন্তু ভারত পেঁয়াজের রপ্তানী মূল্য বাড়ানোর পরপরই অন্য দেশে থেকে পেঁয়াজ আমদানীর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকার কতটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন প্রশ্নে মি. কবির বলেন যে তারা বিভিন্ন দেশে টেলিফোন করছেন, দাপ্তরিকভাবেও যোগাযোগ করেছেন।

“যেসব দেশ পেঁয়াজ রপ্তানি করে – বিশেষ করে তুরস্ক, মিশর এবং মিয়ানমার – এই দেশগুলোর সাথে আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এটা ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে”।

টিসিবি বলছে, দেশীয় পেঁয়াজের ভালো মজুদ বাংলাদেশে রয়েছে। এছাড়া, বেসরকারিভাবে তুরস্ক এবং মিশর থেকে দু’টি জাহাজে পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।

এই পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করলে দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যাবে বলে টিসিবি কর্মকর্তারা মনে করেন।

টিসিবি বলছে, বাংলাদেশে বছরে ১৭ থেকে ১৯ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করে। আর ৭ থেকে ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানী করে দেশীয় চাহিদা মেটানোর জন্য, যার ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

এছাড়া মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানী করে থাকে বাংলাদেশ।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x