হাছান মাহমুদ সুজন:
কক্সবাজারের সমুদ্র ঘেরা দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরালিয়ার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় পানি চলাচলের একটি পুরোনো পুল (সারফেইস বক্স) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগামী বর্ষা মৌষুমে ঐ এলাকার প্রায় ৫০ একর কৃষি জমি, একটি মসজিদ ও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে৷
স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান,বর্তমানে ২০একরের মত জমি পানিতে প্লাবিত থাকায় চলতি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
একই এলাকার বাসিন্দা কামরুল আহসান জানান, বিগত চার যুগ আগে আশেপাশের সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি চলাচলের জন্য বেড়িবাঁধের সাথে সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছিল কালবার্টটি৷
এতদিন কোনো না কোনো রকম ভাবে পানি চলাচলে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি রক্ষা পেলে ও চলতি বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজের মাটি পড়ে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে কালবার্টের বাইরের পাশের মুখ ৷ ফলে শুষ্ক মৌসুমে চাষ উপযোগী কৃষি জমির কিছু কিছু অংশ পানিতে ডুবে আছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের ভাবনা,যেখানে শুষ্ক মৌসুমে পানিতে ভরপুর,সেখানে বর্ষা মৌষুমে কি হাল হতে পারে তাদের গ্রাম ও ঘরবাড়ির!
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলম মুকুলের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান,আমি সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি এবং চেয়ারম্যানের সাথে এব্যাপারে কথা বলেছি,পানি চলাচলের জন্য বর্ষায় একটা কালবার্ট তৈরির পরিকল্পনা আমাদের আছে এবং পরিষদের পক্ষ থেকেই আমরা কালবার্ট নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করব৷ এই মূহুর্তে এটা নিয়ে ঝামেলা করতে গেলে আমাদের প্রধান চাওয়া বেরিবাঁধের কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে৷সে সাথে তিনি এলাকাবাসিকে এ ব্যাপারে চিন্তিত না হওয়ার অনুরোধ জানান৷
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুতুবদিয়া শাখার উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তা মং চাকমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মুরালিয়া এলাকায় পানি চলাচলের একটা নাশির মতো পুল ছিল। বর্তমানে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলমান। এলাকার সুবিধার্থে উর্ধতন কতৃর্পক্ষের অনুমতি নিয়ে পুনরায় পুল (কালবার্ট) বসানো যায়।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।