খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

দুমকীতে মাসুদ আল মামুন বাবু’র ঈদ উপহার বিতরণ

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম |স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
দুমকীতে মাসুদ আল মামুন বাবু’র ঈদ উপহার বিতরণ

প্রতিবছরের ন্যায় ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ফেয়ার ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আল মামুন বাবু’র আয়োজনে পটুয়াখালীর দুমকীতে ১ হাজার গরীব ও অসহায় পরিবার পেল ঈদ উপহার।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এসব খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত ছিল হতদরিদ্র মানুষগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলার নতুন বাজারের আল মামুন সুপার মার্কেট চত্বরে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় প্রতিটি পরিবারকে চাল, মুসুরি ডাল, তৈল, আলু, পিঁয়াজ, সেমাই, দুধ, চিনি, খেজুর ও সাবান প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুমকী আপতুন নেসা খাতুন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ এছহাক আলী সরদার, দুমকি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক উদ্দিন হাওলাদার, দুমকী নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম সহিদ সরদার, জাহিদুল ইসলাম খান প্রমুখ।

দুমকী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সমাজে এধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দুই ঈদেই দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে এবং ঈদে বাড়তি আনন্দ দিতে ইউনাইটেড ফেয়ার গ্রুপের এমন ঈদ উপহার বিতরণ প্রশংসার দাবি রাখে।

 

ভোগান্তিতে দুমকী বিটিসিএলের গ্রাহকেরা, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম | স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৫১ অপরাহ্ণ
ভোগান্তিতে দুমকী বিটিসিএলের গ্রাহকেরা, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের(বিটিসিএল) নিম্মমানের সেবা ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার গ্রাহকরা।

টেলিফোন লাইনে মোটামুটি সংযোগ পাওয়া গেলেও গত বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা এমন অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন অপরদিকে বিটিসিএলের স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকেরা। এদিকে দুমকীতে বিটিসিএলের ২৫০ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও তা কমতে কমতে এখন সংযোগ রয়েছে মাত্র ৩ টি।

এছাড়াও বিটিসিএলের কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি-না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আহমেদ পারভেজ জানান, এতোদিন টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরে আজ আবার সংযোগ দিয়ে গেছে দুমকী বিটিসিএলের অফিস থেকে। ইন্টারনেট সেবা এখনো পাইনি।

উপজেলার ফোরসাইট মেডিকেল ইনিস্টিউটের পরিচালক সৈয়দ মজিবর রহমান টিটু অভিযোগ করে জানান, কিছু দিন আগে লাইনে একটা বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। বারবার তাগাদা দিয়ে টেলিফোন লাইন সংযোগ পেলেও ইন্টারনেট সংযোগ দিতেই পারেনি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও তেমন কোন সারা পাচ্ছি না।

বিটিসিএলের জেলা কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক(বহিঃ) মোঃ আজিমুল্লাহ হক তামিম বলেন, কপারের তারের লাইনের চেয়ে ফাইবার অপটিক্যাবলের লাইনে ইন্টারনেট সেবা উন্নত মানের। দুমকী উপজেলাকে সর্বোচ্চ ডিমান্ডিং এরিয়া উল্লেখ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখতভাবে চাহিদা দেয়া হয়েছে।

তবে প্যানেল সমস্যার জন্য এমনটি হচ্ছে বলে একুশে বার্তাকে জানিয়েছেন বিটিসিএল বরিশালের উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেলিকম) মো. শামীম ফকির। প্যানেল চেয়ে বিটিসিএলের ঢাকা অফিসে দ্রুতই চাহিদা পাঠানো হবে এবং প্যানেলটি আসলে ইন্টারনেট সেবা পূর্বের মত পাওয়া যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়নে কোন ষড়যন্ত্র কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা সত্য নয়। আধুনিক টেকনোলজির সাথে আসলে ব্যাকডেটেড কপারের লাইনের সাথে যায় না। 

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ধর্ম মন্ত্রী এম কেরামত আলী দুমকী টেলিফোন এক্সচেইঞ্জের নূতন ভবনের উদ্ভোদন করেন। গ্রাহক সেবা উন্নত এবং আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে সাতটি ভাগে বিভক্ত করে ২১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ নামে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ টিম গ্রাহকদের যে কোনো প্রকার অভিযোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

আজ ২৬ মার্চ ২০২৫ খ্রি. সকাল ০৬:০৩ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দিনাজপুর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন মহোদয়।

এ সময়ে জেলা পুলিশের চৌকস্ দল ৩১ বার তোপধ্বনি প্রদানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয় ।

১৯৭১ সালে বাঙালির উপর নেমে আসা পাহাড় সমান বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ” তৈরী করার দুঃসাহসী নজির স্থাপন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি পুলিশ বাহিনী, যাকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। গর্বিত পুলিশ সদস্যের এই সাহসী পদক্ষেপটাকেই এই ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব সিফাত-ই-রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), জনাব মোঃ মোসফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক এন্ড এস্টেট), দিনাজপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

কবি লতিফুর রহমানের “যশোর রোডের আর্তনাদ” কবিতাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা ও মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের এক মর্মস্পর্শী চিত্র। কবিতাটি শুধু একটি পথের বর্ণনা নয়, বরং এটি সেই সময়ের বাস্তুচ্যুত, শরণার্থী মানুষের হাহাকার এবং বেঁচে থাকার আকুলতার এক জীবন্ত দলিল।

যশোর রোডের আর্তনাদ- কবি লতিফুর রহমান

যশোর রোডের ধুলোমাখা পথ, বেদনার এক নদী,
শত শত চোখ আকাশে খোঁজে, মুক্তির এক পরিধি।
বাঁশের ছাউনি, কাদা আর জল, জীবনের এক খেলা,
মরা ঈশ্বর আকাশে বসে, দেখে শুধু অবহেলা।

ঘরছাড়া মানুষ, চোখে নেই ঘুম, যুদ্ধের কালো ছায়া,
বোমারু বিমান মাথার ওপরে, কবে এই রাত ফুরায়?
একাত্তরের মুখগুলো সব, কত কথা যায় বলে,
আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা, কলকাতা আজও চলে।

সেপ্টেম্বরের পিচ্ছিল পথে, গরুর গাড়ির সারি,
লক্ষ মানুষ ভাতের খোঁজে, শোকে কাঁদে নারী।
রিফিউজি ঘরে শিশুর কান্না, ফোলা পেটের জ্বালা,
দিশেহারা মা কার কাছে যাবে, কে দেবে তার সাড়া?

যুদ্ধ আর মৃত্যু, তবু স্বপ্ন দেখে, ফেলে আসা সুখের মাঠ,
ভাতের কথা, ত্রাণের আশা, কে শুনে কার আর্তনাদ?
ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে, বেঁচে থাকা এক ধাঁধা,
আধপেটা শিশু মায়ের কোলে, কেমন এ জীবন বাঁধা?

ছোট ছোট পায়ে মৃত্যুর ছায়া, গুলির চিহ্ন বুকে,
ঘর ছাড়া মাটি মিছে মায়া, বাঁচার স্বপ্ন রুখে।
যশোর রোডের ধারে ধারে, এত কেন মরে লোক?
ছেঁড়া সংসার, এলোমেলো সব, বেদনার এই শোক।

শত শত চোখ আকাশে দেখে, মরে যাওয়া শিশুর দল,
যশোর রোডের যুদ্ধক্ষেত্রে, সব যেন এলোমেলো জল।
কাদামাখা মানুষ আকাশে খোঁজে, মরা ঈশ্বরের দেখা,
নালিশ জানাবে কাকে তারা, কে দেবে তাদের রেখা?