ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ জুন ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

দিনে ইসলামের কথা, রাতে পতিতাবৃত্তি: নেপথ্যে তিন কটেজ মালিক

একুশে বার্তা ডেস্ক
জুন ২৮, ২০২২ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের অধিকাংশ কটেজ ও আবাসিক হোটেল এবং আবাসিক বাসভবনে দিনে-রাতে অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।

গত মাসে গোয়েন্দা পুলিশ ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে আমির ড্রিম কটেজেসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালনার পর আটক পতিতাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রশাসনের নাকের ডগায় নারী দেহের পসরা সাজিয়ে অবাধে ব্যবসার নেপথ্যে রয়েছে আমির ড্রিম নাইটের মালিক, সিরাজ সওদাগর, শাহিন (৪৫), বশরসহ কয়েকজনের নাম। তাদের নামে পুলিশ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনে আমির ড্রিমের মালিক শাহিন, বশর, সিরাজের গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি কটেজ ও ফ্লাটে জমজমাট পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসায়িদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে উঠা আমির ড্রিম কটেজসহ কয়েকটি কটেজ ও ফ্লাটে অনেক দিন ধরে চলছে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা । এসব কটেজ ও ফ্লাটে অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে শাহিন, বশর সিরাজের একটি সিন্ডিকেট। এই তিন জনের সিন্ডিকেট করে দালালদের মাধ্যমে পতিতা ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। দালালরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতাদের এনে কটেজে আশ্রয় দেয়। পতিতার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায়িদের আশ্রয়স্থলও রয়েছে কটেজে।

এযৌন কাজে ব্যাবহার রোহিঙ্গা নারীদের ব্যাবহার করেন এই সিন্ডিকেট :
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে নিয়ে আসেেন তারা। প্রথমে একটি ঘরে মজুদ করেন পরে আমির ড্রিম নামক হোটেলে নিয়ে গিয়ে এবস দেহ ব্যাবসা করাতে বাধ্য করান বলে অভিযোগ তুলেন লাইলা নামক এক রোহিঙ্গা নারী কক্সবাজার লাইট হাউসের শাহীন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। যৌন কাজ করতে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী জানান, এই কাজের জন্য আমির ড্রিমের মালিক সিরাজ, তার সহোযগি শাহীন, বশর তাদের চাকরির কথা বলে কক্সবাজার নিয়ে আসেন। পরে কয়েকদিন অন্য কাজ করিয়ে যৌনকাজ করতে তাদের শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন। তাদের রয়েছে বিশাল একটি সিন্ডিকেট।

কয়েকজন স্থানীয় জানান, অভাবের তাড়নায়, দালালের খপ্পরে পড়ে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নারী ও কিশোরীরা। আগে থেকেই এ পেশায় জড়িত প্রায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী। এক কাজ বেশির ভাগ কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে বেশি হয়ে থাকে বলে জানান। তার মধ্যে আমির ড্রিম কটেজের নাম সব চেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পুলিশের অভিযান চালিয়ে আমির ড্রিম কটেজ থেকে অনেক পতিতাও আটক করা হয়েছে।

হোটেল মোটেল জোনে যেসব কটেজে দেহ ব্যাবসা হয়:

শহরের লাইট হাউস এলাকায় প্রবেশ করলে চোখে পরবে সারি সারি কটেজ। প্রথমে দেখলে মনে হবে না কটেজ গুলোকে দেহ ব্যাবসা চলে। এইসব দেহ ব্যাবসার মাধ্যে যে কটেজ গুলোর নাম উঠে এসেছে তা হল, পুরান ঢাকা বাড়ী, শিউলি কটেজ,ক্লাসিক নাঈমা কটেজসহ অরো অনেক।

কে এইশাহীন,সিরাজ,বশর?
এই কালে অভাব-অনটনে দিন পার করা যুবক শাহীন আমিন সিরাজের হাত ধরে যৌন ব্যাবসায় আসেন। তারপর বশরসহ তারা একটি সিন্ডিকেট তেরি করেন। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে কটেজ ভাড়া নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে পতিতা সংগ্রহ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যায়। এ ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি লাখ টাকার মালিক বনে যায় ।

কি বলছে প্রশাসন :
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে আমির ড্রিম কটেজসহ হোটেল মোটেল জোনে অভিযান পরিচলনা করে পতিতা খদ্দেরসহ এই পর্যন্ত দুইশত জন আটক করছে বলে জানান পুলিশ। এই বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শেখ মনিরুল গিয়াস জানান, এধরনের ব্যবসা চালালে আমরা অভিযানের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেব। পর্যটন শহরে কোন ভাবেই অনৈতিক কাজ হতে দেবনা। কালই এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x