খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

জুলাইকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
জুলাইকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই মাসকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে, এই জুলাই মাসে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল। জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, এক জনতার জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল— ‘ফ‍্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করার অনুষ্ঠানমালা নিয়েছি। এটা শুধু ভাবাবেগের বিষয় নয়, ক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়। আমরা ১৬ বছর পরে বিরাট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং যে কারণে অভ্যুত্থান হয়েছিল তাৎক্ষণিক যেটা টার্গেট ছিল, সেটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। কিন্তু তার পেছনে ছিল একটা বিরাট স্বপ্ন- নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর এই সময়কালটা উদযাপন করব যাতে পরবর্তীতে ১৬ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে না হয় আবার এই অভ্যুত্থান করার জন্য। আমরা প্রতি বছর এটা করব যাতে কোনো স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখা গেলে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে আমরা বিনাশ করতে পারি সেটার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি। ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু- বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের—যারা রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন; সাহস, ত্যাগ আর দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল আমরা চাই এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক। আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য— জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের এই সুযোগকে হারিয়ে না ফেলা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্ত বড় সম্ভাবনাও আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের আহ্বান জানাই— আসুন, এই জুলাই মাসকে পরিণত করি গণজাগরণের মাসে; ঐক্যের মাসে।’

‘এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করব যে লক্ষ্যে আমাদের তরুণ ছাত্ররা, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবার নতুন করে শপথ নেব- এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে। এবং এটা আমরা প্রতি বছর করব, যাতে স্বৈরাচার আবার কোনোরকমে মাথাচাড়া দিতে না পারে’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের পুনরুত্থান কর্মসূচি সফল হোক। এর মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠুক। আমাদের ঐক্য আমাদের সর্বমুখী হোক, অটুট হোক এই হোক আমাদের এই অনুষ্ঠানমালার লক্ষ্য। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমি জাতির পক্ষ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। সবাইকে এই অনুষ্ঠানে সকল উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

দিনাজপুরে জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে  জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

১৭ জুলাই ২০২৫ বেলা ৫ ঘটিকার সময় সরকারের ‘নির্লিপ্ততায়’ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ দিনাজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে লিলি মোড়, বুটিবাবুর মোড়, মুন্সিপাড়া, মডার্ন মোড় থেকে ঘুড়ে এসে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহবাহক- এ কে এম মাসুদুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন মো: রেজাউল রহমান রেজা সদস্য সচিব।
তারা বলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করা ও দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন বখতিয়ার আহমেদ কচি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ( স্থগিত), সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাদশা, মোন্নাফ মুকুল জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, তোশা জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি, মজিবর রহমান মজিব কৃষক দলের সদস্য সচিব, বাবু চৌধুরী প্রচার সম্পাদক আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. নুর আলম হক খোকন, মো. মাসুদ রানা, মো. রবিউল আলম শামীম, মো. শহীদুল ইসলাম সাজু, মো. শামীম আখতার শামীম, মো. ফরিজার রহমান তপু, মো. মিজানুর রহমান মুকুল, মো. আনোয়ার হোসেন খোকন, মো. মিজানুর রহমান সাজু, মো. মাসুম রেজা পলাশ, মো. নজরুল ইসলাম খোকা, মো. গোলাম মুর্শেদ খান রাজন, মো. খায়রুল হাসান, মো. কাদের খান জনি, মো. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ মুন্না, মো. নবাব আলী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরা হবার গৌরব অর্জন করে দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিন আহনাফ। কৃতি এই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার পক্ষ থেকে এই কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা এবং দশ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড উপহার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফাতিন আহনাফের বাড়িতে গিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উপহার পৌঁছে দেন। এসময় তারা এই শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

ফাতিন আহনাফ দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও উম্মে কাউসার দম্পতির কন্যা। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১৬ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করে। তার এই অসাধারণ সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহলে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

ফাতিন জানান,তার এই অর্জনের পেছনে শিক্ষকবৃন্দ এবং তার অভিভাবকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের কল্যাণেই এই ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।

এই কৃতি শিক্ষার্থীর বাবা লুৎফর রহমান বলেন,ফাতিনের এই অর্জনে আমরা সকলেই আনন্দিত,আপ্লুত। তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাহেবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে এটি তাকে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন,ফাতিন আহনাফের সেরা ফলাফলে আমরা খুবই আনন্দিত। সে আমাদের গর্ব। এই কৃতি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, সাবেক সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

মীর তুহিন, রাবি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

(more…)