ঢাকাসোমবার , ১১ জুলাই ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

ঈদে বিশাল ডিসকাউন্ট বিশ্বমানের সী এ্যাকুরিয়াম কক্সবাজার রেড়িয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে

একুশে বার্তা ডেস্ক
জুলাই ১১, ২০২২ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে প্রথম স্থাপিত বিশ্বমানের সী এ্যাকুরিয়াম কক্সবাজার অবস্থিত রেড়িয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্টের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার (১০ জুলাই) থেকে আগামী পাঁচ দিন এই ডিসকাউন্ট দেয়া হবে।

সমুদ্রের তলদেশের আশ্চর্য জীবন আর রহস্যময় প্রকৃতি ভূপৃষ্ঠের থেকেও বেশি বৈচিত্রময়। উন্নত বিশ্বে এই বর্ণিল রাজত্ব দেখার নানা মাধ্যম থাকলেও আমাদের দেশে আগে তেমন সুবিধে ছিলো না।
সমুদ্র ও মিঠা পানির বিস্ময়কর এই জলজীবন মানুষের সামনে সহজে তুলে ধরতে ও তাদের আগ্রহ মেটাতেই কক্সবাজারে তৈরি হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র মেরিন ফিশ একুরিয়ামে প্রবেশ মুল্যের উপর এই বিশেষ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সী এ্যাকুরিয়ামে বর্তমানে প্রবেশ ফি ৩০০ টাকা। কিন্তু ঈদের ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে আসা দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখেই ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকসহ সকলের জন্য ৩০০ টাকা প্রবেশ মুল্যের উপর ১০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সকল শিক্ষার্থীদের জন রয়েছে ৪০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। তিনি বলেন, সাড়ে তিন ফিটের নীচের শিশুদের জন্য এই এ্যাকুরিয়াম পরিদর্শন সম্পুর্ন ফ্রী রাখা হয়েছে।

শফিকুর রহমান জানান, সী এ্যাকুরিয়ামে বর্তমানে সাগরতলের দু’শ প্রজাতির মাছ ও জীব রয়েছে। সী এ্যাকুরিয়ামটিকে জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রের গভীর তলদেশ, নানা প্রাণীর বসবাসের চিত্র। বিরল প্রজাতির মাছসহ এখানে আছে হাঙর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোয়াল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙ্গাস, আউসসহ আরও অনেক মাছ এবং জলজ প্রাণী।

তিনি জানান এ্যাকুরিয়ামে নতুন অতিথি ৭০ কেজি ওজনের ক্যাট ফিস ৬০ কেজি ওজনের কাছিম ৬৫ কেজি ওজনের হাংগর মাছ সহ গভীর সাগরের দুষ্প্রাপ্য কিছু মাছ।

তিনি আরও জানান এ্যাকুরিয়ামটিতে সাগরের ২০০ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। অচেনা এবং বিলুপ্ত প্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষাকেন্দ্র। পর্যটন শিল্প বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

শফিকুর রহমান চৌধুরী আরো জানান, সাগরতলের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ছাড়াও এই সী এ্যাকুরিয়ামটিকে কেন্দ্র করে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারকে একাধিক জোনে গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখার নান্দনিক স্পেস, দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি, ছবি তোলার জন্য ডিজিটাল কালার ল্যাব, শপিং স্পেস, লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্ট, ইবাদতের জায়গা, শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিয়ে বা পার্টির জন্য কনফারেন্স হল ও ছাদে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি রয়েছে বার-বি কিউর ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে সুপরিসর পার্কিং ও লাগেজ রাখার লকার। এখানে এসে কোনোরকম বিরক্তি ছাড়াই কীভাবে নিমিষেই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা কেটে যাবে বোঝাই যাবে না। পুরো সেন্টার নিরাপত্তা বেষ্টনী সিসিটিভির আওতায় থাকবে সর্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে।

কক্সবাজারে যারা বেড়াতে আসেন তাদের জন্য এই সী এ্যাকুরিয়াম অন্যতম আকর্ষণ। এই এ্যাকুরিয়ামে দর্শনার্থীরা দেখতে পায় সাগরতলের রহস্যময় জগতের বিভিন্ন প্রজাতির জীব বৈচিত্র্য।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ঝাউতলায় বেসরকারিভাবে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন ও ব্যয়বহুল এ্যাকুরিয়ামটি সামুদ্রিক জলজ জীবন ও এর নানা জীব বৈচিত্র্যের সমাহার নিয়ে সাজানো। মাটির নিচে থাকা এই ওভাল শেপের কাঁচের তৈরি এ্যাকুরিয়ামের মাঝখান দিয়ে গুহার মতো রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ডানে, বামে কিংবা উপরে যেদিকেই তাকাবেন সামুদ্রিক জীবনের নানা অজানা অচেনা দিক আপনার সামনে রয়েছে। আছে নানা রকম শৈবাল, প্রবাল ও ৫০-৬০ প্রজাতির মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী। আছে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও বিভিন্ন আকারের সামুদ্রিক মাছ। মনে হবে যেনো একেবারে সমুদ্রের তলদেশেই আছেন আপনি।

ঝলমলে আলো, নানা রকম শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো এই একুরিয়ামটি শতাধিক ছোট বড় একুরিয়াম নিয়ে গঠিত। সাগর তলের বাস্তব এক প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন এখানে। বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়েও আছে ফিশ মিউজিয়াম।

বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছও সংরক্ষণ রয়েছে এখানে। আছে সামুদ্রিক শৈল মাছ, হাঙ্গর, পিতম্বরী, আউস, শাপলা পাতা, সাগর কুচিয়া, বোল, পানপাতা, বোল, পাঙ্গাশ, চাওয়া, কাছিম, কাঁকড়া, জেলি ফিসসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ।

আসা যাওয়া: রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড এ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে পৌছাতে হবে কক্সবাজার শহরে। আশপাশের পর্যটন স্থানে ঘুরতে এসে কয়েক ঘণ্টার জন্য এখানে ভিন্ন এক জগত দেখে যেতে পারেন সহজেই। কক্সবাজারের যেকোন স্থান হতে ইজি বাইক, সি এন জি কিংবা অটোরিকশা নিয়ে সহজেই চলে আসতে পারবেন ঝাউতলা। পৌষী রেস্টুরেন্ট এর সামনের মোড় থেকে হাতের বামে গেলেই পাবেন রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড। এছাড়া হোটেল-মোটেল জোন থেকে শহরের প্রবেশ মুখ হলিডে মোড় পার হয়ে আসার একটু পরেই ঝাউতলা এলাকায় প্রধান সড়কের সাথেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত এই “রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড”।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x