খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

রাজশাহীতে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

মোহাইমিনুল ইসলাম। রাজশাহী সদর
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) দুপুর ১.৪৫ মিনিটে রাজশাহীর কাজলা মোড় হতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানীর হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি কাজলা মোড় থেকে শুরু হয়ে বিনোদপুর বাজারে এসে শেষ হয়।

উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিতি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংগ্রামী সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন – জঙ্গি সংগঠক  বাংলাদেশ আওয়ামী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করার জন্য ভারতে সাথে লিয়াজু করে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ও হিন্দুস্থান করার জন্য সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। অকার্যকর রাষ্ট্রের জন্য নোমানীর মত মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যা করে এই দেশকে তাস রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করে। শুধু শিবিরকেই নয় এদেশের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জামায়াতের শীর্ষনেতাদের হত্যা করা হয়েছে।  কিন্তু এ দেশে এখন পর্যন্ত তাদের কোন বিচার করা হয় নাই।

তিনি আরো বলেন এই স্বৈরাচার সরকার সামাজ্যবাদী সরকার, পতন হবার পরও এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নোমানীর হত্যার বিচারের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এর চেয়ে কষ্টের কথা আর হতে পারে না। হাজার হাজার ভাইয়েরা ছাত্ররা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে । যারা আপনাদের ভিসি বানিয়েছে, প্রোভিসি বানিয়েছে দায়িত্ব দিয়েছে আবার নোমানী ভাইয়ের যদি হত্যকারীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচল করে তাহলে আমাদেরকে আর আইন হাতে তুলে নেবার জন্য বাধ্য করবেন না। নোমানীর হত্যার সাথে যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহন করতে হবে।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই বলে আমাদেরকে দূর্বল ভাববেন না। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে স্বৈরাচার সরকার পতন করেছে তেমনি আর বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচার সরকার তৈরি হতে দিবে না। তাই দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য বলা হলো।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

আজ ২৬ মার্চ ২০২৫ খ্রি. সকাল ০৬:০৩ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দিনাজপুর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন মহোদয়।

এ সময়ে জেলা পুলিশের চৌকস্ দল ৩১ বার তোপধ্বনি প্রদানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয় ।

১৯৭১ সালে বাঙালির উপর নেমে আসা পাহাড় সমান বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ” তৈরী করার দুঃসাহসী নজির স্থাপন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি পুলিশ বাহিনী, যাকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। গর্বিত পুলিশ সদস্যের এই সাহসী পদক্ষেপটাকেই এই ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব সিফাত-ই-রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), জনাব মোঃ মোসফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক এন্ড এস্টেট), দিনাজপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

কবি লতিফুর রহমানের “যশোর রোডের আর্তনাদ” কবিতাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা ও মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের এক মর্মস্পর্শী চিত্র। কবিতাটি শুধু একটি পথের বর্ণনা নয়, বরং এটি সেই সময়ের বাস্তুচ্যুত, শরণার্থী মানুষের হাহাকার এবং বেঁচে থাকার আকুলতার এক জীবন্ত দলিল।

যশোর রোডের আর্তনাদ- কবি লতিফুর রহমান

যশোর রোডের ধুলোমাখা পথ, বেদনার এক নদী,
শত শত চোখ আকাশে খোঁজে, মুক্তির এক পরিধি।
বাঁশের ছাউনি, কাদা আর জল, জীবনের এক খেলা,
মরা ঈশ্বর আকাশে বসে, দেখে শুধু অবহেলা।

ঘরছাড়া মানুষ, চোখে নেই ঘুম, যুদ্ধের কালো ছায়া,
বোমারু বিমান মাথার ওপরে, কবে এই রাত ফুরায়?
একাত্তরের মুখগুলো সব, কত কথা যায় বলে,
আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা, কলকাতা আজও চলে।

সেপ্টেম্বরের পিচ্ছিল পথে, গরুর গাড়ির সারি,
লক্ষ মানুষ ভাতের খোঁজে, শোকে কাঁদে নারী।
রিফিউজি ঘরে শিশুর কান্না, ফোলা পেটের জ্বালা,
দিশেহারা মা কার কাছে যাবে, কে দেবে তার সাড়া?

যুদ্ধ আর মৃত্যু, তবু স্বপ্ন দেখে, ফেলে আসা সুখের মাঠ,
ভাতের কথা, ত্রাণের আশা, কে শুনে কার আর্তনাদ?
ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে, বেঁচে থাকা এক ধাঁধা,
আধপেটা শিশু মায়ের কোলে, কেমন এ জীবন বাঁধা?

ছোট ছোট পায়ে মৃত্যুর ছায়া, গুলির চিহ্ন বুকে,
ঘর ছাড়া মাটি মিছে মায়া, বাঁচার স্বপ্ন রুখে।
যশোর রোডের ধারে ধারে, এত কেন মরে লোক?
ছেঁড়া সংসার, এলোমেলো সব, বেদনার এই শোক।

শত শত চোখ আকাশে দেখে, মরে যাওয়া শিশুর দল,
যশোর রোডের যুদ্ধক্ষেত্রে, সব যেন এলোমেলো জল।
কাদামাখা মানুষ আকাশে খোঁজে, মরা ঈশ্বরের দেখা,
নালিশ জানাবে কাকে তারা, কে দেবে তাদের রেখা?

বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোণা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বিশ্ববাসীর কল্যাণ ও মঙ্গল কামনায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সংগঠনের কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষের মঙ্গল এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ইফতার আয়োজনে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।

ইফতারের পূর্বে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বড় মসজিদ দারুল উলুম আবাসিক মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আশরাফুর রহমান আনসারী।

এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা’র সভাপতি এম. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল,দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মোহন মিয়া,সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম,বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, যুগ্ম আহ্বায়ক বিকাশ সরকার, সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল, জামায়াতে ইসলামী পৌর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান,উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি কমরেড শামছুল আলম খান,সামাজসেবক হাজী মঞ্জুরুল হক,কবি লোকান্ত শাওন,কবি বিদ্যুৎ সরকার, দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি উমর ফারুক হাওলাদার,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল খান রুদ্র সহ অনেকে।

দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন,ইফতার মাহফিলে সকলের অংশগ্রহণ আমাদের আনন্দিত করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পাশে নিয়েই এগিয়ে যাবে আমাদের সকলের দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতি।

এই আয়োজন সফল করতে নিরলস কাজ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।