খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ, ১৪৩২

ভ্রষ্ট নীতির ধ্বংস: সমাজ ও মানবতার আর্তনাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ
ভ্রষ্ট নীতির ধ্বংস: সমাজ ও মানবতার আর্তনাদ

কবি মো. লতিফুর রহমানের “ভ্রষ্ট নীতির ধ্বংস” কবিতাটি বর্তমান সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবতার বিপর্যয়ের এক নির্মম চিত্র তুলে ধরেছে। কবিতাটিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতি, স্বার্থপরতা এবং নীতিহীনতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

কবিতায় কবি ‘বোন আছিয়ার ক্রন্দসী’র মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের আর্তনাদ তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সবাই যেন স্বার্থের নেশায় মত্ত, সত্য ও ন্যায়বিচার যেন অন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের বিবেক ও নীতিবোধ আজ বিলুপ্তপ্রায়, যার ফলে জাতি আজ এক গভীর শূন্যতায় নিমজ্জিত।
কবি তার কবিতায় স্বদেশকে ব্যথায় ভরা এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে স্বার্থ ছাড়া কেউ সত্য কথা বলে না, এবং এই ভ্রষ্ট নীতি মানবতাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কবিতায় কবির প্রশ্ন, “বিবেকের দুয়ার খুলবে কবে?” যেন সমাজের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কাছে এক গভীর জিজ্ঞাসা। তিনি বলেন, লোভের মোহান্তরের কারণে ভালো মানুষ আজ হারিয়ে যাচ্ছে।

ভ্রষ্ট নীতির ধ্বংস- মো. লতিফুর রহমান

ঐ দেখো, কথার জালে
স্বপ্নরা আজ বন্দী,
সহজ ভুলে, ব্যথার ছলে
বোন আছিয়ার ক্রন্দসী।

ইস্যুর নেশায় মত্ত সবাই
সত্য যেন অন্ধ,
বিবেক হারায়, নীতি হারায়
জাতি আজ নিঃস্ব রন্ধ্র।

স্বদেশ আমার, ব্যথায় ভরা
অপকর্মে সেরা,
সকল দেশের মাঝে যেন
অন্ধকারের ঘেরা।

স্বার্থ ছাড়া কেউ তো নয়
সত্য বলে কেউ না,
ভ্রষ্ট নীতি ধ্বংস আনে
নীরব মানবতা।

বিবেকের দুয়ার খুলবে কবে?
কে দেবে তার উত্তর?
ভালো মানুষ হারিয়ে গেছে
লোভের মোহান্তর।

উপজেলা কো-অর্ডিনেটরদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৩ পূর্বাহ্ণ
উপজেলা কো-অর্ডিনেটরদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ

আজ  আনু:১০ ঘটিকার সময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় মাদারীপুর জেলায় উপজেলা কো-অর্ডিনেটরদের মাঝে উপস্থিত থেকে প্রকল্প হতে প্রেরিত ল্যাপটপ বিতরন করেন মাদারীপুর জেলার স্হানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব উপপরিচালক জনাব মুহাম্মদ হাবিবুল আলম।আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো: আলিউল হাসনাত খান। মুহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন যে প্রকল্পের কাজের জন্য এবং গ্রাম আদালতের কাজের গতিশীলতা আনতে এই ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে আপনারা এই ল্যাপটপ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন।এখন থেকে সমস্ত রিপোর্ট গ্রাম আদালতের অর্জন প্রতি মাসের রিপোর্ট, ত্রৈমাসিক রিপোর্ট, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভা,ইউনিয়নের মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা

এনজিও সমন্বয় সভা উঠানসভা প্রতিটি ইভেন্ট পোস্টিং দিতে হবে।জেলা ম্যানেজার বলেন এই ল্যাপটপটি আপনাদের ব্যক্তিগত কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না কারন আপনারা নিয়মিত ফিল্ড ভিজিট করবেন এখন থেকে সমস্ত রিপোর্ট অনলাইন বেইজ কম্পিউটারে পোস্টিং দিবেন।

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম

মোহাইমিনুল ইসলাম | নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার খড়বোনা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিউল ইসলাম বাড়ি নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকায়। তিনি নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের ছোট ভাই। আজিজুল হকের ছেলে রবিউল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামী।

নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রবিউল সাহেব বাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় খড়বোনা এলাকায় রিকশার গতি রোধ করে দুর্বত্তরা রবিউলকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউল ইসলাম রবির নামে পাঁচটি মামলা আছে। এরমধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি রবিউল।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহিদুল কারাগারে থাকলেও রবিউল জামিনে বের হয়ে আসেন।

দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানালেন শিবির সভাপতি

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০৩ অপরাহ্ণ
দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানালেন শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ছাত্রশিবিরের কর্মীদেরকে আধুনিক জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এ জন্য শিবিরকর্মীদের মধ্যে সততা থাকতে হবে। তিনি সকলকে সততার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।

বুধবার (২৩ এপ্রির ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখা আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, জুলাই স্প্রিটকে ধারণ করে এ দেশকে ও সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন হবে হওয়া উচিত। একেবারে যেন দীর্ঘায়িত না, আবার যেন খুব তাড়াহুড়া না হয়। ৫ আগস্টের পর সংস্কারগুলোর কোন দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাচ্ছি না। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন হোক আমরা এটাই চাই।

দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শহর শিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা’র সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ। সমাবেশে দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক কয়েকজন দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখেন।

এর পর ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম স্থানীয় বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এ সময তিনি বলেন, জুলাই আগস্টের পর মানুষের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ভ্রাতৃত্ব ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ চাই। আমাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে চ্যালেঞ্জ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হবে। দেশ গঠনে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভুমিকা রাখতে হবে। তাহলে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো। তিনি আরো বলেন, আমরা একটি আদর্শিক বিজয় চাই। এ জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হলেও সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

সধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান ও সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক।