খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

কচাকাটায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস, মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
কচাকাটায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস, মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কচাকাটা কলেজ ময়দানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাগেশ্বরী উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি জনাব মোঃ ফরিদুল ইসলাম এর সভাপত্বিতে ও সেক্রেটারি মোঃ কামরুজ্জামান -এর সার্বিক তত্বাবধানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আতাউর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ এনামুল হক, প্রধান উপদেষ্টা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কচাকাটা থানা শাখা, মোঃ নাজমুল আলম, অফিসার ইনচার্জ, কচাকাটা থানা, মোঃ আব্দুল বাতেন বিএসসি, উপদেষ্টা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কচাকাটা থানা শাখা, মোঃ আতাউর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কচাকাটা থানা শাখা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আতাউর রহমান বলেন, পবিত্র রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। রোজা মানুষের আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম উল্লেখ করে বলেন, রমজানের শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের শ্রমিক-জনতা স্বাধীনতার সূর্য রচনা করেছে। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড়ো অর্জন। এই অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এদেশের শ্রমজীবী মানুষরা দিনরাত অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজ তাদের পরিশ্রমের বদৌলতে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে মোঃ নাজমুল আলম (অফিসার ইনচার্জ, কচাকাটা থানা) বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি না করার জন্য আহবান জানান এবং অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান শ্রমিকদের তিনি বলেন, অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য তারা যেন গভীর রাতে যান চলাচল না করেন।

অনুষ্ঠান শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।