খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মঞ্চে শিবির-ছাত্রদল

মোহাইমিনুল ইসলাম | রাজশাহী সদর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মঞ্চে শিবির-ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। কিন্তু অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। সবসময়ই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শী, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনের দিকে ছিলেন। ৭১ পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৭১-এর পরে পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনার মাধ্যমে ইসলামকে মুছে দেওয়ার একটি গভীরতম নীল নকশা করা হয়েছিল। সেটিও মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীনতা তাকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত করেছে মন্তব্য করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে আপসহীন চরিত্র সেটি এখনো পর্যন্ত ওনাকে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রেখেছে। আমরা চাই আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবেন। রাজনীতির মাঠে একেকজনের আদর্শ, চিন্তা, বক্তব্য আলাদা থাকবে এটাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য্য। কিন্তু দিনশেষে দেশটা আমার, আপনাদের ও আমাদের সকলের। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

এ ছাড়া কর্মসূচিতে আগামী দিনে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, শিবির ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে এসেছে এ জন্য তাদেরকে স্বাগত জানাই। কিন্তু শিবিরের প্রতি প্রশ্ন রাখতে চাই যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা উঠিয়ে দিয়েছিলো তখন আপনারা কি করেছিলেন? যখন বিভিন্ন আলেম কুরআনের অপব্যখ্যা করে তখন আপনারা ভোটের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। কিন্তু ইসলামি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এসব বিষয়ে আপনাদের কথা বলা উচিত।

রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সর্দার রাশেদ আলী।  এ সময় আরবি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মসজিদের সহকারী পেশ ইমাম মোহাম্মদ শাহাজুল ইসলামসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচারক প্যানেল ২৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৩ জনকে পুরষ্কৃত করে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

আজ ২৬ মার্চ ২০২৫ খ্রি. সকাল ০৬:০৩ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দিনাজপুর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন মহোদয়।

এ সময়ে জেলা পুলিশের চৌকস্ দল ৩১ বার তোপধ্বনি প্রদানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয় ।

১৯৭১ সালে বাঙালির উপর নেমে আসা পাহাড় সমান বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ” তৈরী করার দুঃসাহসী নজির স্থাপন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি পুলিশ বাহিনী, যাকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। গর্বিত পুলিশ সদস্যের এই সাহসী পদক্ষেপটাকেই এই ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব সিফাত-ই-রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), জনাব মোঃ মোসফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক এন্ড এস্টেট), দিনাজপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

কবি লতিফুর রহমানের “যশোর রোডের আর্তনাদ” কবিতাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা ও মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের এক মর্মস্পর্শী চিত্র। কবিতাটি শুধু একটি পথের বর্ণনা নয়, বরং এটি সেই সময়ের বাস্তুচ্যুত, শরণার্থী মানুষের হাহাকার এবং বেঁচে থাকার আকুলতার এক জীবন্ত দলিল।

যশোর রোডের আর্তনাদ- কবি লতিফুর রহমান

যশোর রোডের ধুলোমাখা পথ, বেদনার এক নদী,
শত শত চোখ আকাশে খোঁজে, মুক্তির এক পরিধি।
বাঁশের ছাউনি, কাদা আর জল, জীবনের এক খেলা,
মরা ঈশ্বর আকাশে বসে, দেখে শুধু অবহেলা।

ঘরছাড়া মানুষ, চোখে নেই ঘুম, যুদ্ধের কালো ছায়া,
বোমারু বিমান মাথার ওপরে, কবে এই রাত ফুরায়?
একাত্তরের মুখগুলো সব, কত কথা যায় বলে,
আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা, কলকাতা আজও চলে।

সেপ্টেম্বরের পিচ্ছিল পথে, গরুর গাড়ির সারি,
লক্ষ মানুষ ভাতের খোঁজে, শোকে কাঁদে নারী।
রিফিউজি ঘরে শিশুর কান্না, ফোলা পেটের জ্বালা,
দিশেহারা মা কার কাছে যাবে, কে দেবে তার সাড়া?

যুদ্ধ আর মৃত্যু, তবু স্বপ্ন দেখে, ফেলে আসা সুখের মাঠ,
ভাতের কথা, ত্রাণের আশা, কে শুনে কার আর্তনাদ?
ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে, বেঁচে থাকা এক ধাঁধা,
আধপেটা শিশু মায়ের কোলে, কেমন এ জীবন বাঁধা?

ছোট ছোট পায়ে মৃত্যুর ছায়া, গুলির চিহ্ন বুকে,
ঘর ছাড়া মাটি মিছে মায়া, বাঁচার স্বপ্ন রুখে।
যশোর রোডের ধারে ধারে, এত কেন মরে লোক?
ছেঁড়া সংসার, এলোমেলো সব, বেদনার এই শোক।

শত শত চোখ আকাশে দেখে, মরে যাওয়া শিশুর দল,
যশোর রোডের যুদ্ধক্ষেত্রে, সব যেন এলোমেলো জল।
কাদামাখা মানুষ আকাশে খোঁজে, মরা ঈশ্বরের দেখা,
নালিশ জানাবে কাকে তারা, কে দেবে তাদের রেখা?

বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোণা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বিশ্ববাসীর কল্যাণ ও মঙ্গল কামনায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সংগঠনের কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষের মঙ্গল এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ইফতার আয়োজনে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।

ইফতারের পূর্বে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বড় মসজিদ দারুল উলুম আবাসিক মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আশরাফুর রহমান আনসারী।

এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুসঙ্গ দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা’র সভাপতি এম. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল,দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মোহন মিয়া,সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম,বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, যুগ্ম আহ্বায়ক বিকাশ সরকার, সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল, জামায়াতে ইসলামী পৌর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান,উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি কমরেড শামছুল আলম খান,সামাজসেবক হাজী মঞ্জুরুল হক,কবি লোকান্ত শাওন,কবি বিদ্যুৎ সরকার, দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি উমর ফারুক হাওলাদার,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল খান রুদ্র সহ অনেকে।

দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি বলেন,ইফতার মাহফিলে সকলের অংশগ্রহণ আমাদের আনন্দিত করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পাশে নিয়েই এগিয়ে যাবে আমাদের সকলের দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতি।

এই আয়োজন সফল করতে নিরলস কাজ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।