এই মাছ লাল কোরাল ও ভেটকি দুই নামেই পরিচিত।তবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয় লোকজন এই মাছকে রাঙা ছইক্কা বা রাঙাচয় নামে চেনেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় মাছ ভর্তি ট্রলারটি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে ভিড়লে স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছগুলো দেখতে ভিড় করেন।শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আয়ুব সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, গত বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো নয়জন মাঝি মাল্লা নিয়ে মাছ শিকারে যান ট্রলারটি।সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মৌলভীর শীল নামক এলাকায় গিয়ে মাছ শিকারে জন্য জাল ফেলেন জেলেরা।
পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জেলেরা মিলে জাল টানা শুরু করেন।প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি জাল টেনে উঠাতে সময় লাগে।এরমধ্যে ১২০টি লাল কোরাল জালে ধরা পড়ে।পরে মাছগুলো ঘাটে নিয়ে এসে প্রতিমণ ২০হাজার টাকা দামে ৩লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লালু বলেন,রোজা উপলক্ষ্য বতমানে বাজারের মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।প্রতিকেজি বাজারের ৫০০-৬০০টাকায় বিক্রয় হয়।কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের এই মাছ খুবই জনপ্রিয়।তাই একটু বেশি দামে বিক্রয় করার আশায় মাছগুলো চট্টগ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের একটি ট্রলারে প্রচুর পরিমাণের লাল কোরাল ধরা পড়ার খবর শুনেছি।এই সুস্বাদু কোরাল কিংবা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী।সচরাচর এসব মাছ বাজারে কম মিলে।
সাগরের গভীরে লাল কোরালের বিচরণ করে থাকে।মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।স্থাণীয় হাটবাজারে অন্যান্য কোরালে তুলনায় এ মাছের দাম একটু বেশি।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।