খালাস পাওয়া মামলায় ইশরাককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গেল বছরের ২৩ নভেম্বর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেয়ার ওই মামলায় ইশরাক হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে, যার গ্রহণযোগ্যতার ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট ইশরাককে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তাকে জামিন দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালের আগস্টে ইশরাকের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় ওই মামলাটি করে দুদক। নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২)(ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

এই মামলায় ২০১৮ সালে ইশরাকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। দুদকের করা এ মামলায় ইশরাকের বিরুদ্ধে গত বছরের জানুয়ারিতে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। শুনানি শেষে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ওই রায় দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে বা তার পক্ষে অন্য নামে বা তার পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলা হয়। নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় দুদক আইনের ২৬ (২) (ক) ধারামতে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ইশরাক বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।