আবদুল হামিদ: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লংগদুর মূখ থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টায় এক কৃষককে অপহরণ করেছে মূখোশ পরা সন্ত্রাসীরা।
অপহৃতের নাম নূর আহমদ (৪০)। সে বাঁকখালী মৌজার কালাচাঁদ বাপের চরের মৃত নাদেরুজ্জামানের ছেলে। অপহরণকালে নুর আহমদসহ ৬ নারী-পুরুষ অপহৃতের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। অপহরণ ঘটনার বাকী ৫ জন সে বাড়িতে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান বলেন,ঘটনা সত্য। তিনি খুব সকালে খবর পেয়েই নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনর্চাজকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি গোয়েন্দাদেরকেও অবহিত করেছেন এ ঘটনা।
তিনি তার এলাকা এ কৃষকের দ্রুত মুক্তি চায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ প্রতিবেদককে বলেন,বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩ টা বা ৪ টার দিকে ৮/১০ জন মূখোশ ও হাফপ্যান্ট পরা সশস্ত্র লোক নুর আহমদকে তার বাড়ি ঘেরাও করে প্রথমে। পরে তাকে বাড়িতে থাকা ৬ জন থেকে শুধু নুর আহমদকেই ঘুম থেকে উঠিয়ে চোখ বেঁধে উত্তর দিকে নিয়ে যায়। তারা সবাই বাঙ্গালী চেহারার। তারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কথা বলেছে। তবে ১ জন সাধু ভাষাতে বলেছে। তারা আরো জানান, ২০১৬ সালে অপহৃত নুর আহমদের ভাই ফরিদুল ইসলামকেও এ বাড়ি থেকে রঅপহরণ করেছিল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা । যাকে অনেক কষ্টে ৭৫ হাজার টাকা মূক্তিপণে বন্দিশালা থেকে মূক্ত করা হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন,ঘটনার বিষয়ে তিনি অবহিতের পর জেনেছেন তার এলাকার ১১ নম্বর রাবার বাগানের পাশে ভোর সকালে একদল রাবার শ্রমিকদের মূখোমূখি হয় সে অপহরণকারীরা। তারা দক্ষিন দিক থেকে বাইশারী ইউনিয়নের হরিনখাইয়ার আগা হয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিল । তাদের দিকে থাকানোর অপরাধে রাবার শ্রমিকদের মারধর করে ১ টি মোবাইলও কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। যা থানার ওসিকে তিনি অবহিত করেছেন। অপহরণ ঘটনার কথা স্বীকার করে থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন,তিনি অভিযোগ পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছেন। তার টিম জোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে তাকে মুক্ত করতে।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত