বিশেষ প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে লাইব্রেরীর বই ও খাতা চুরির অভিযোগ এনে নয়ন মিয়া (১৪) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোর যাত্রাপুর গ্রামের শেখ মোজ্জাফরের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে যাত্রাপুর গ্রামের সরকারি বিচারপতি নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের পাশে তারেক হোসেন তোতা মিয়ার দোকান ভাড়া নিয়ে মো. ইমন হোসেন মূহুর্ত লাইব্রেরি নামে একটি লাইব্রেরি পরিচালনা করে আসছেন। নয়ন সেই লাইব্রেরির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন।
সম্প্রতি লাইব্রেরি মালিক অন্যত্র লাইব্রেরিটি সরিয়ে নিতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তোতা মিয়া। তিনি খুঁজতে থাকেন কিভাবে ইমন ও নয়নের ক্ষতি করা যায়। ইমন অন্য ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় দোকানের সম্পূর্ণ দেখভাল ও বেচাকেনা করতে থাকে নয়ন। সম্প্রতি লাইব্রেরি থেকে নয়ন কিছু বই ও খাতা বিক্রি করলে, সেটি গোপনে ভিডিও করেন অভিযুক্ত তোতা মিয়া। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিও দেখিয়ে শুক্রবারের মধ্যে নয়নের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তোতা মিয়া। অন্যথায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়নের মুঠোফোনে কল দিয়ে দেখা করতে বলে তোতা মিয়া। নয়ন সেখানে গেলে দাবিকৃত ১০ হাজার টাকা দিতে বলেন। নয়ন এতো টাকা কোথায় পাব বলতেই তোতা মিয়া ও তার ছেলে সানি নয়নকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে নয়ন কৌশলে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে এসে রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয়রা লাইব্রেরি মালিককে খবর দিলে সে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় নয়নকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
লাইব্রেরি মালিক ইমন নয়নকে সৎ ও বিশ্বস্ত দাবি করে বলেন, নয়নকে সবকিছু দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছি, তাই সে বিক্রি করেছেন। এছাড়া সে চুরি করার ছেলে না, আর যদি করেও থাকে তোতা মিয়া আমাকে জানাতেন। তিনি তা না করে বিচার করার উনি কে?
নয়নের মা সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে বলেন, যারা আমার ছেলেকে এইভাবে মেরেছে আমি তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত তারেক হোসেন তোতা জানান, আমি যদি নয়নকে মেরে থাকি তাহলে তারা আমাকে আইনের আওতায় আনুক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাসেল জানান, নয়নের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঈদ চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত