সাহিত্য ডেস্কঃ
হারতে হারতেও হেরে না যাওয়া মানুষ কবি মাহবুব রুমন। তুমুল সর্বনাশে ও অবিচল থাকা যার স্বভাব। শেষতক সবকিছু বদলে দিয়ে নতুন ভাবে নতুন পরিচয়ে ঘুরে দাঁড়ানো এক ব্যোহেমিয়ান। আবাল্যের অগোচর,অবহেলা তাকে কবি করে তুলেছে।তাই তার কবিতায় এরই দ্যুতনা ফুটে ওঠে বিভিন্ন আঙ্গিকে।তার কবিতা হয়ে ওঠে সকল অবহেলিতের কণ্ঠস্বর। পিথাগোরাস জ্যামিতির সমীকরণে জীবনের সকল হিসেব মেলাতে চেয়েছেন আর কবি মাহবুব রুমন মেলাতে চান কবিতার গাঁথুনিতে ।শব্দের বিন্যাসে ভুলে থাকতে চান জীবনের টানাপোড়েন। সবাই কবিতা লিখেন আর তিনি জীবন লিখেন কবিতায়। ২২ নভেম্বর ১৯৯০ সালে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার অবহেলিত গ্রাম ধলামূল গাঁও এ জন্ম। পিতাঃবীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সিদ্দিকুর রহমান।গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা ও সমাজ সেবামূলক সংগঠন “কংস মৈত্রী”। মাধ্যমিক নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রতিষ্ঠা করেন ” বাউন্ডুলে ছাত্র সংঘ”। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। এটিই প্রথম পুস্তক আকারে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলেও লিখছেন বাল্যকাল থেকে , প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর একজন সদস্য তিনি।
লেখকের এই প্রকাশিত বইটির ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। শুভেচ্ছা বাণীতে কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেছেন- “আমি আমার দীর্ঘ কাব্য জীবনে এরকম কোন কবি সন্ধান পাইনি।” বইটির জন্য আশীর্বাণী জানিয়েছেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত মনীষী অধ্যাপক যতীন সরকারও বইটির ভূমিকা লিখতে গিয়ে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন ” বাংলা কবিতার বাগিচায় আর একটি সুকণ্ঠী বুলবুলি যেন গান ধরেছে। তাকে গাইতে দেওয়ার জন্য আমাদের সময় দিয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে।” বইটি তরুণ সমাজের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবারের বই মেলায় আলোচিত এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে অনিন্দ্য প্রকাশনীর ৫ নম্বর প্যাভিলিয়নে। এছাড়া Rokomari.com এর মাধ্যমে অনলাইনেও বইটি সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এতে দাম পড়বে ১১৩ টাকা মাত্র।
রুবেল মিয়া-একুশে বার্তা
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।