বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মাঝেই শনিবার তার সঙ্গে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়েছে।
হায়দ্রাবাদ হাউজে শনিবার সকালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আগে দুই প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলেন।
বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের নেতারা তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই শেখ হাসিনার প্রথম দিল্লী সফর। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি সর্বশেষ দিল্লি সফর করেন।
কিন্তু যেসব ইস্যুকে বাংলাদেশের নেতারা এর আগে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন, সেগুলো নিয়ে বৈঠকে কী কথাবার্তা হয়েছে?
তিস্তা নদীর পানিবন্টন
প্রত্যাশিতভাবেই তিস্তা নিয়ে আলাদা কোনও সমঝোতা বা চুক্তি এই সফরে স্বাক্ষরিত হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, "তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে ২০১১ সালে দুই দেশের সরকার যে অন্তর্বর্তী চুক্তির কাঠামোয় একমত হয়েছিল, কবে তার বাস্তবায়ন হবে বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু অধীর আগ্রহে সেই অপেক্ষায় আছে।"
Image caption
বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
যৌথ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জবাবে বলেছেন, তার সরকার তিস্তায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে নিরন্তর কাজ করে চলেছে যাতে যত দ্রুত সম্ভব একটি তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা যায়।
এগুলো অবশ্য বিশেষ নতুন কোনও কথা নয়। আগেও বহুবার এই ধরনের কথাবার্তা দু'দেশের পক্ষ থেকে শোনা গেছে।
নতুন যেটা তা হল, তিস্তা ছাড়াও আরও ছয়টি অভিন্ন নদীর (মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার) জল কীভাবে ভাগাভাগি করা যায়, অবিলম্বে তার একটি খসড়া কাঠামো প্রস্তুত করতে দুই নেতা যৌথ নদী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও ফেনী নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়েও অন্তর্বর্তী চুক্তির কাঠামো তৈরি করতে কমিশনকে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ফেনি নদী থেকেই ১.৮২ কিউসেক পানি নিয়ে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জল সরবরাহেও বাংলাদেশ রাজি হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এই সাতটি অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে যে দ্বিপাক্ষিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে - সেই একই ফর্মুলা ভবিষ্যতে তিস্তার ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যেতে পারে।
তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে এই সফরে আদৌ যদি কোনও অগ্রগতি হয়ে থাকে, তা এটুকুই।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত