ঢাকাসোমবার , ২৬ অক্টোবর ২০২০
  1. অপরাধ
  2. অর্থনৈতিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জেলা/উপজেলা
  12. জোকস
  13. ঢাকা
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. ধর্ম

শতাধিক প্রতীমা বিসর্জন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

একুশে বার্তা
অক্টোবর ২৬, ২০২০ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইমাম খাইর:

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীতে প্রতীমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও বাঁকখালী, মাতামুহুরী নদীসহ বিভিন্ন স্থানে একযোগে প্রতীমা বিসর্জন দেয় হিন্দু ধর্মের ভক্ত-অনুরক্তরা।

কেন্দ্রীয় স্বরস্বতী বাড়ির প্রতিমা ছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতীমাগুলো উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে চুবিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।

মহাষষ্ঠীতে দোলায় চড়ে এসেছিলেন দুর্গা। আর গজে (হাতি) চড়ে কৈলাশে ফিরছেন। কক্সবাজার জেলায় এবার ১৪৪ টি মণ্ডপে প্রতিমা পূজা হয়েছে।

বিজয়া দশমীর দুর্গোৎসবকে ঘিরে সমুদ্রসৈকতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে কারণে বিসর্জন শেষ হওয়া পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিসর্জন ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো আয়োজন না থাকলেও উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢোল বাজিয়ে পানিতে ভাসানো হয় প্রতিমা।

তবে, করোনাকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। বিসর্জন উৎসবে মাস্ক ব্যবহারী লোকের সংখ্যা খুব কমই চোখে পড়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‘মা দুর্গা’ বিসর্জনের সময় আনন্দের পাশাপাশি বিষাদের ছাপও ছিল।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে প্যান্ডেল তৈরী হলেও এবার বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সৈকতের বালিয়াড়িতে হয় নি বিদায় অঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠান। তবু বেলা ৩ টা থেকে কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন উপজেলা থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে একে একে প্রতিমা বোঝাই ট্রাক আসতে থাকে। আর ওই সব প্রতিমা ধর্মীয় রীতি মেনে সৈকতে দেয়া হয় বিসর্জন।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত কুমার দাশ জানান, শতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজয়া সম্মেলন না হলেও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য বছর সৈকত প্রতিমার বিদায় অঞ্জলি প্রদান করা হলেও এবার ট্রাকের তোলার আগে মণ্ডপে ওই অঞ্জলি শেষ করা হয়। ফলে ট্রাক থেকে সোজা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ৭ দফা নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পুজোকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনামূলক ২৬ দফা মেনে এবারের দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে।

সোমবার বেলা ৩টা থেকে ট্রাকযোগে লাবণী পয়েন্টে একে একে আনা হয় প্রতীমা। এরপর ভক্তদের কাঁধে চড়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিসর্জনের জন্য।

প্রতীমা বিসর্জনে জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য, ফায়ার সার্ভিস বাহিনী ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগে সৈকতপাড়ে নির্মিত করা হয় বেশকয়েকটি অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সেই সব টাওয়ার থেকেই পুরো সৈকতের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। সৈকত পয়েন্ট গুলোতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া প্রশাসনিক নিরাপত্তা।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে, টানা পাঁচদিন মৃন্ময়ীরূপে মন্ডপে মন্ডপে থেকে আজ ফিরে গেছেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে। দূর কৈলাশ ছেড়ে মা পিতৃগৃহে আসেন দোলায় চড়ে। আজ সোমবার বিজয়া দশমীতে বিদায় নিবেন ঘোড়ায় চেপে।

বিসর্জনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, সদর থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

x