নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে এক গার্মেন্টস চাকরীজীবির বদ্ধ বসত ঘর রাতের আঁধারে ভেঙ্গে নিশ্চিন্ন করে লুট করে নিয়ে গেছে। আর সেই বসত ভিটা দখল করে দিনে বর্তমানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের অভিযোগ করেছে একটি অসহায় পরিবার। এ নিয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে অভিযোগ করেছে বলে জানান অভিযোগকারী রিদুয়ান।
তার দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর সিকদার পাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমদ জীবিকার তাগিদে তার ৩৬ বছরের দখলীয় বিএস ৩৩৪২নং খতিয়ানের বিএস দাগ ৫০৪৮নং এর উপর তার বাঁশের বেড়া সমেত টিনের ছাউনি একটি বসত ঘর (যার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং নং ২২১৪৯৭১০০০৮৬৯) তালাবদ্ধ করে তার পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরী করে বিগত ১০ বছর আগে থেকে। রিদুয়ান মাঝে মধ্যে এসে বসত ঘর খানা খুলে ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে করে যায়।
গত ১৬ মার্চ রাতের আঁধারে একই এলাকার কামাল উদ্দিনের(কামাল বলী) পুত্র কুতুব উদ্দিন, বাবুল, মৃত আলী মিয়ার পুত্র বাট্টু মিয়া, তার পুত্র নুর কবির, আমীর হোছন ও মৃত আব্দুল হাকীমের পুত্র শফি উল্লাহ সহ কিছু দুর্বৃত্ত মিলে আমার ভিটার উপর রেখে যাওয়া তালাবদ্ধ ঘর সম্পুর্ণ ভেঙ্গে বেড়া, ছাউনি সহ ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে করে আমার ৫ (পাঁচ) লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
রিদুয়ান আরো বলেন, আমি আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে সকালে চলে আসলে দেখি আমার বদ্ধ ঘরের চিহ্ন পর্যন্ত রাখেনি তারা। আরো আমার ভিটায় উপরোক্ত ব্যক্তিগন মিলে বাউন্ডারী ওয়াল দিচ্ছে। আমি এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমার কোন জায়গা নেই বলে তাড়িয়ে নিয়ে আসে। আমি কোন মতে দৌড়ে এসে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীতে এসে জানলে, পুলিশ আমাকে মামলা করতে বলেন। আমি এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে বললে তিনি রবিবারে আসার কথা বলেন। আমি এখন অসহায়। জীবিকার জন্য বাড়ী ফেলে চট্টগ্রাম যাওয়াটাই আমার জন্য পাপ হলো। আমি এ নিষ্টুরতার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত বাবুল বলেন, আমরা আমাদের ভিটা রক্ষার্থে বাউন্ডারী ওয়াল দিচ্ছি। এখানে কারো জায়গা নেই। আর বাড়ী ভাংচুরের বিষয়টি সঠিক নয়। আপনারা এসে তদন্ত করে সত্য কথাটা জানতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এসআই সাখাওয়াত বলেন, বিষয়টি আমার কাছে অবগত নাই। তবে রিদুয়ান নামের একটি অভিযোগ থানা থেকে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে বলতে পারবো বিস্তারিত বিষয়ে।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত