নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৪ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, সকাল পৌনে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালিয়েছে।
মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। এর মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাদের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়ার চিলাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ।
ধারনা করা হচ্ছে বিএনপির আন্দোলনরত কর্মীরা এই অগ্নিকান্ডের সাথে জরিত থাকতে পারে। গত রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান যে আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর (পরে ১৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করছি।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুন নেভানো ও লাশগুলো উদ্ধার করে ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মুহাম্মদ শফিক আজিজ/ইবিসি/ঢাকা