পেগাসাস একটি ম্যালওয়্যার; ভাইরাস বলতে গেলে এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া সব থেকে শক্তিশালী এবং মারাত্মক একটি প্রোগ্রাম।
পেগাসাস আপনার ফোনে প্রবেশ করে আপনার ফোনের যাবতীয় সকল তথ্য অন্যকে দিতে পারে,আপনার ফোনের ক্যামেরা একসেস করে ভিডিও করতে পারে,মাইক্রোফোন অন করে সব কিছু রেকোর্ড করতে পারে,আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মেসেজ সব কিছু পড়তে এবং ট্রান্সফার করতে সক্ষম। আর এই সবই ঘটতে পারে আপনার সাথে কেবল একটি ফোন কল বা মেসেজ আসার মাধ্যমে। আগে তো লিংক এ ক্লিক করলে বা মেইল ওপেন করলে এসব স্পাইওয়ার আমাদের ডিভাইসে প্রবেশ করত। কিন্তু এখন আর এসবের দরকার নেই। এটাকে বলে Zero Click Attack।
রিসেন্টলি Amnesty ও Forbiden Stories সংস্থা দুটির যৌথ ইনভেস্টিগেশনে একটি লিকড লিস্ট রিভিল হয় ৫০০০০ হাজার ফোন নম্বরের যেগুলোতে পেগাসাস দারা আক্রমণ করা হয়।
তাছাড়া এই রিভিলের পিছনে আরো বড় বড় কিছু সংস্থার নামও রয়েছে। Amnesty International এর রিপোর্টে পাবলিকলি এই স্পাইওয়ারটির মেথলজিকেও রিভিল করে দেয়।আপনারা চাইলে চেক করে আসতে পারেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ১১টি দেশের মধ্যে এই স্পাইওয়ারটির ব্যাবহার হয় যার মধ্যে রয়েছে Azerbaijan, Bahrain, Hungary, India, Kazakhstan, Mexico, Morocco, Rwanda, Saudi Arabia and the United Arab Emirates। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট এর মতে এর সংখ্যা প্রায় ৪৫ এবং যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
যারা নিরাপত্তার নামে এই ধরনের স্পাইওয়ার ব্যাবহার করছে তারা কাদের উপর ব্যাবহার করছে? যেই নম্বরের লিস্ট রিভিল হয় সেখানে ক্রিমিনালদের বদলে হিউম্যান রাইটস এক্টিভিস্ট, জার্নালিস্ট, লইয়ারস, সরকারি অফিসিয়ালস এবং রাজনৈতিক নেতা রয়েছে৷ তো একটু ভাবুন, এমন একটি স্পাইওয়ার যেটি বানানো হয় ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। সেটির ব্যাবহার হচ্ছে এখন অপজিশন পার্টি, জার্নালিস্ট, সোস্যাল এক্টিভিস্টদের উপর। এটা থেকেই ধারণা করতে পারেন এই স্পাইওয়ারটি কতটা ক্ষতিকর একটি দেশের গনতন্ত্রের জন্য। যেকোনো দেশের সরকার এটি ব্যাবহার করে যে কারো উপর স্পাই করতে পারবে এবং সকল তথ্যের বেনেফিট নিতে পারে। কোনো জার্নালিস্ট নিজেদের ইনভেস্টিগেশন করতে পারবে না কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেকশন কমিশনার, মানবাধিকার কর্মী সহ এসব পর্যায়ের লোকজনের উপর যখন স্পাই হবে তখন সেই দেশের গনতন্ত্র দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা লাগবে।
আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কি না বুঝার কিছু উপাই রয়েছে,
কারণ ছাড়া আপনার ফোন গরম হবে, আপনি কিছু করবেন না কিন্তু ফোন গরম হবে।
আমরা সবাই জানি আমরা যদি ফোন ব্যবহার করি তাহলে কেবল ফোন গরম কিন্তু কিন্তু যদি ফোন ব্যবহার না করেও গরম হয় তাহলে হয়তো আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে
আপনার মোবাইলের ব্যাটারি পাওয়ার যদি হঠাৎ করেই খুব দ্রুত শেষ হতে থাকে তাহলে এটাও একটা কারণ হতে পারে হ্যাকিং এর।
আপনি যদি স্ট্রং কলিং জোনে থাকেন তারপরেও যদি ফোন কলে কারো সাথে কথা বলার সময় একই কথা বার বার শুনা যায় অথবা নয়েজি সাউন্ড পাওয়া যায় তাহলে বুঝবেন আপনার কল ট্র্যাক করছে কেউ। অনেক সময় মোবাইল কোম্পানি গুলোও গ্রাহকের কলিং সিস্টেম পরীক্ষার জন্য এমন করে থাকে তবে তা খুব সীমিত সময়ের জন্য।
আবার অনেক সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা হতে পারে তবে তা কিছুক্ষন এর জন্য।
যদি আপনার ফোনে এই ধরনের সমস্যা হয় তবে সাথে সাথে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলুন।
লিখাঃ মিনহাজুল আবেদীন
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত