মনসুর আলম মুন্না- কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিত খালি বিটের দুদু মিয়ার ঘোনায় পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ ও মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। দিন দুপুরে এসব পাহাড় কেটে শত-শত গাড়ি মাটি কেটে নিলেও বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই অবস্থায় ফুলছড়ি রেঞ্জের পূর্ব ভিলেজার পাড়া,দুদু মিয়ার ঘোনা, হাজি পড়ার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় এবং মাটির ভীত নরম হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলখভাবে বনভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিত খালি বিটের পূর্ব ভিলেজারা পাড়া,দুদু মিয়ার ঘোনা এলাকায় স্থানীয় ছৈয়দ আহমেদ এর ছেলে মো. রায়হান ডাম্পার গাড়ি যোগে ২০ মিটার উচুঁ পাহাড় কেটে শত-শত গাড়ি মাটি বিক্রি করছে। একি এলাকার সেলিনা আক্তার ও তার ছেলে তরেক পাহাড় কেটে দালান বাড়ি নির্মান করেন, এবং পাহাড় কাটা এখনো চলমান । জানা যায়, রাতের আধাঁরে এবং দিন দুপুরে পাহাড়ের কাটা মাটিগুলো বিক্রি করে দেয়। এছাড়া আরও দেখা গেছে, ফুলছড়ি রেঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্ট এ হাইওয়ে রোড এর সাথে লাগোয়া ফকিরা বাজরে এর পচ্চিম এবং উওর পাশে পলিথিনের আড়ালে ফাউন্ডেশন দিয়ে দালান বাড়ি নির্মাণ করছেন। এবিষয়ে ভূমিদস্যু রায়হান জানান, বসতবাড়ি করার জন্য পাহাড় কেটেছেন? মাটি গুলা কোন টাকা দিয়ে বিক্রি করছে না। তবে উত্তর বনবিভাগের নাপিত খালি বিট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কাজ করছেন। ডাম্পার গাড়ির ড্রাইভার আঃ রশিদ এবং ভূমিদস্যু রায়হান আরও বলেন, বনবিভাগ কে মেনেছ না করলে দিন দুপুরে এভাবে মাটি কাটা সম্ভব?? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বাড়ির এক মহিলা বলেন, যাদের জায়গা তারা বুঝবে। আপনাদের সমস্যা কি। এব্যাপারে নাপিত খালি বনবিটের দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান , ওদিকে যাওয়া হয়নি। পরিদর্শনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার উওর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.ফারুক বাবুল বলেন, ভূমিদস্যুরা বন বিভাগ কিনে ফেলছে এই কথা বলতেই পারে। আমি বিট অফিসার কে পাঠিয়ে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত