নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পবা ও মোহনপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের পাকা ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। পরিদর্শনকালে তিনি পবা ও মোহনপুর উপজেলায় নির্মিত বাড়িগুলোর নির্মাণশৈলী ও গুণগতমান অনুমোদিত ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী হয়েছে কিনা তা যাচাই করেন। পাশাপাশি উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে তাদের কোনো সমস্যা আছে কিনা তিনি তার খোঁজ নেন।
উপকারভোগীদের মধ্যে আদরী সচিবকে জানান, তাঁর মেয়ে নার্সিং কলেজে পড়ে। এর আগে তার ঘর ছিল মাটির তৈরি ও টিনের ফুটা দিয়ে পানি পড়তো।এর ফলে ঘর পাওয়ার আগে মেয়ের লেখা-পড়া করতে অনেক কষ্ট হতো। এখন দালান বাড়ী পেয়ে তার মেয়ের লেখা-পড়া করতে আর কষ্ট করতে হয় না। সেই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
অপর একজন সুবিধাভোগী কল্পনা কিসকু জানান, তার দুই ছেলে বিশ্বজিৎ ও দুর্জয়। বিশ্বজিৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মাটির বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকতো ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ে থাকতে হতো। কিন্তু এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয় করতে হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দালান ঘর দিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য আশীর্বাদ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পবা ও মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্ৰাম ইউনিয়নের ঝালপুকুর ও তুলসীক্ষেত্র বড় দেওপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচিব মো মহসীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এঁর পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, বিভাগীয় কমিশনার জনাব জি এস এম জাফরুল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো জিয়াউল হক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এলাকার ভূমি ও আশ্রয়হীনদের দুই শতক জায়গাসহ ঘর উপহার দিতে ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন। পবা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বর্তমানে ৬৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ও ৩২টি ঘরের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরদিকে পবা উপজেলার ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৪৭টির ঘরের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে সকল পরিবার ঘরের মালিকানা বুঝে পেয়েছেন।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত