আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি বান্দরবান: সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনসহ পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের শান্তি, সম্প্রীতি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, খেলাধুলা এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি জোন শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে (১২ এপ্রিল বুধবার) সকালে জোন হলরুমে জোনের আওতাধীন

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব মহা সাংগ্রাই ‘বৈসাবি’ উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৩টি মহা সাংগ্রাই ‘বৈসাবি’ উদযাপন কমিটির প্রতিনিধির নিকট নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উপজাতী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির নিকট আর্থিক অনুদান (নগদ অর্থ) ও পুরস্কার হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন রাফি-উস-হাসান, নাইক্ষ্যংছড়ি জোন, বিজিবি সদস্যগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ। ১১ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন আমরা সকল ধর্ম ও ধর্মীয় উৎসবকে সম্মান প্রদর্শন করি। আজকের এই আর্থিক সহায়তা সকলের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নকে আরো অগ্রগতির দিকে যাবে বলে আমরা মনে করি।পাহাড়ি সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয় মহাসাংগ্রাই। মূলত পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে এই মহোৎসব টি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানের অংশীদারী হিসেবে ১১ বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি জোন বিভিন্নভাবে অবদান রেখে চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নাইক্ষ্যংছড়ি জোন কতৃক সর্বমোট ১৩ টি মহা সাংগ্রাই ‘বৈসাবি’ উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিকে আর্থিক সহায়তা ও বিশেষ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। উক্ত উৎসব যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সুস্পষ্ট নজর রাখা এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।