স্টাফ রিপোর্টার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনগুলো থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শরিকদলগুলো সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা নিয়ে দোলাচলের অবসান ঘটল।

আজ রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, এই ৩২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রার্থী থাকছে না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি নিয়ে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। পরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘৩২টি আসন শরিক ও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন এবং ১৪ দলকে ৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৪ দলের শরিকরা নৌকা মার্কায় ভোটে অংশ নেবেন। জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলগত ও জোটগতভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছিল। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক কিংবা তাদের স্ব স্ব দলের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে এবং এ বিষয়টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করা হলো।’

যেসব আসনে সমঝোতা

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ- ৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে আগে থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না।

১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জাসদ তিনটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসন পেয়েছে। তাদের জন্য বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।