প্রায় এক মাস আগে নিখোঁজ কলেজছাত্র পল্লবের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের একটি কাঁচা ঘরের মধ্যে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ পল্লবের দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত পল্লব সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের বিকাশের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, গত ১৪ অক্টোবর নিখোঁজ হন কলেজ ছাত্র পল্লব। তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। জিডির বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ।
শনিবার সকালের দিকে পল্লবের দুই বন্ধু জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে অপূর্ব এবং জগন্নাথপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে ঈশানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সঞ্জিব কুমার মন্ডল।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অপূর্ব স্বীকার করেন, পল্লবকে হত্যা করে তার নানা আজিজার রহমান মাস্টারের জঙ্গলবাঁধালস্থ বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি কাঁচা ঘরের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়েছে।
এই তথ্য পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল গোলাম রাব্বানি, কোতোয়ালি থানায় ওসি মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে যান এবং দুইজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ঘরের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পল্লবের মরদেহ উদ্ধার করেন।
শেখ তাসমীম আলম আরও জানান, এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অপূর্ব ও ঈশানকে আটক করা হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপূর্বের নানা আজিজুর রহমান মাস্টার ও নানি সাবিহা খাতুনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ হত্যা সম্পর্কে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর জিডির ঘটনাটি হত্যা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে।
এদিকে পল্লব হত্যা সম্পর্কে এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে পল্লব একটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলবাঁধাল গ্রামে বন্ধু অপূর্ব বাড়িতে যায়। অপূর্ব তার নানার বাড়িতে থাকে। ওই মেয়ের সঙ্গে রাত কাটাবে বলে পল্লব প্রস্তাব দিলে অপূর্ব তাদের থাকার সুযোগ করে দেয়। ঘটনার দিন অপূর্ব’র নানা ও নানি বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনাটি অপূর্ব ছাড়াও তার অপর বন্ধু ঈশান জানতো। ওই রাতে পল্লব ও তার বান্ধবীর অসামাজিক কাজের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে তারা।
এরপর ওই দৃশ্য ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অপূর্ব ও ঈশান ওই মেয়েকে চায়। এই নিয়ে পল্লবের সঙ্গ তাদের তর্কবিতর্ক হয়। পল্লব বাঁধা দেয়ায় অপূর্ব একটি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে পল্লব মারাত্মক আহত হন এবং মারা যান। পরে তারা দুইজন পল্লবের মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই ঘরের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে। আর ওই মেয়েকে চলে যেতে সহযোগিতা করে। তবে মেয়েটির পরিচয় জানাতে পারেনি সূত্রটি।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত