সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: কুতুবদিয়া উত্তর ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদরাসার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, বিএনপি জামায়াত এক সময় অপপ্রচার চালাতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে মসজিদ, মাদরাসা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু, শেখ হাসিনা সরকার উপজেলায় উপজেলায় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা, দেশের মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যম তাদের অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মাদরাসাগুলোর এমপিওভুক্ত করন, শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের ফ্রি বই, উপবৃত্তি প্রদান ও দাউরায়ে হাদীসকে মাষ্টার্সে মানোন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নিরক্ষরমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, দ্বীপবাসীর একসময় স্বপ্ন ছিলো বিদ্যুৎ পাবে। বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে 'শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ' এ প্রতিপাদ্যে ও ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মানুষের স্বপ্নকে সত্যিতে পরিণত করেছেন।

এছাড়াও সরকার বিদেশ থেকে লবন আমদানী বন্ধের মাধ্যমে লবনের দাম বৃদ্ধি করে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দ্বীপের মানুষের দাবী পূরণ করেছেন এবং আগামীতে সুপার ডাইকের মাধ্যমে কুতুবদিয়াকে স্মার্ট দ্বীপ হিসেবে গড়া তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে। তাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও বিজয়ী করতে হবে। বুধবার কুতুবদিয়া উত্তর ধূরুং ছমদিয়া আলিম মাদরাসার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি ধূরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন ও বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
"শতাব্দির আহবানে এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে, তোমার আমার শিকড় যেখানে" শ্লোগানে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে দু'দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছিলো র্যালি, মাদরাসা নিয়ে বিভিন্ন সংগীত, স্মৃতিচারণ, অতিথি বরণ, মাদরাসার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশনা 'ফাযাক্কির' এর মোড়ক উন্মোচন, প্রসিদ্ধ ও দেশখ্যাত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মরণোত্তর সম্মাননা ও আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শেখ আবদুল আজিজ চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ রুহুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন মাষ্টার আবদুল হামিদ, মাওলানা ওজাইর কুতুবী, মুহাম্মদ মকসুদ ও মাষ্টার রেজাউল করিম। আলোচনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, এসিল্যান্ড জজ মিত্র চাকমা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শতবর্ষ উদযাপন কমিটি সভাপতি আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা, স্বরণীকা 'ফাযাক্কির' এর সম্পাদক রেজা খান হেলালী, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী পরিষদের আহবায়ক মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াক্কাস প্রমূখ।দিনব্যাপী আয়োজনে মাদরাসার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিলো মুগ্ধতার প্রাণ।