মহিউদ্দিন মাহী:
কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনায় দোষি প্রমাণিত হওয়ায় আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-২ এর বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এই দন্ড দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত যুবক হলেন কক্সবাজার সদরের রশিদনগর ইউনিয়নের থালিয়া ঘোনার মঞ্জুুর আলমের ছেলে। যদিও তিনি ইতিমধ্যে কারাগারে আছেন।
আদালত সূত্র জানান, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর রাত ৮টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে চাউল কিনতে যায় স্থানীয় ছলিম উল্লাহর ১০ বছর বয়সী মেয়ে। চাউল কিনে বাড়ির ফেরার পথে রশিদনগর ইউনিয়নের থলিয়া ঘোনা সরওয়ারের বাড়ির সামনে ছোট কালভার্টের পূর্বপাশে খালের পাড়ের নির্জন এলাকা হওয়ায় তাকে একা পায় স্থানীয় আনোয়ার হোসেন। ওই সময় কৃষি জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আনোয়ার।
শিশু কন্যা চাউল আনতে গিয়ে বাড়িতে না ফেরায় তার মা খুঁজতে বের হলে অসুস্থ অবস্থায় তার শিশু মেয়েকে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই সময় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় শিশুরটির বাবা ছলিম উল্লাহ বাদি হয়ে ১৭ সালের ২১ অক্টোবর রামু থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য এবং হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত।
তিনি জানান, ২০০০ এর ১৫ ধারার বিধানের আওতায় এই মামলার আরোপিত অর্থদন্ড ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে থাকবে। এই অর্থদন্ডে দন্ডিত আসামী আনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে ১৫ ধারার বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত