কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের শহরের অভিজাত হোটেলে অট্রেলিয়া থেকে এসে রোহিঙ্গা তরুনীকে ক্যাম্প থেকে এনে বিয়ের আয়োজন চলছিল। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অল্প বয়সী তরুণী খতিজার সাথে এসেছিল প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শুরু হতেই খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের এমন জমকালো আয়োজনের বিষয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ হানা দিলে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ সময় অনেকে পালিয়ে গেলেও অট্রেলিয়া থেকে আসা রোহিঙ্গা হামিদ সহ আটক হয় প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯ টি বিদেশী পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।
১৪ জানুয়ারী রাত ৯ টার সময় কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনের সী পার্ল এপার্টমেন্ট এ এই অভিযান চালায় পুলিশ। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত শাকিল আহামদ বলেন, ক্যাম্প থেকে অনুমতি ছাড়া বেশ কিছু রোহিঙ্গা সী পার্ল হোটেল এসে বিয়ের আসর করছে এমন খবর পেয়ে আমরা অভিযানে এসে দেখেছি এখানে সত্যিকার অর্থে রোহিঙ্গাদের মিলনমেলা বসেছে। এখানে অট্রেলিয়া থেকে এসে হামিদ নামের এক ব্যাক্তি (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা তরুনীকে বিয়ে করছে। তাদের উভয় পক্ষের হাজার খানের রোহিঙ্গাকে খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা হয়েছিল এখানে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে অনেকে পালিয়ে গেছে এখন নারী শিশু সহ শতাধিত রোহিঙ্গাদের পেয়েছি। এখানে হামিদ সহ অনেকের কাছে বিদেশী পাসপোর্ট আছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে আর হেফাজতে নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশনা দেয় তাই হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন,আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম এখানে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার সমাগম হয়েছে পরে জানতে পেরেছি এখানে দুই রোহিঙ্গা পরিবারের বিয়ে হচ্ছে এখানে বিদেশ থেকেও অনেক রোহিঙ্গা এসেছে। আমরা সেটা জানতে চাইলে উল্টো রোহিঙ্গারা আমাদের উপর হামলা করতে তেড়ে আসে তখন আমরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ রোহিঙ্গাদের আটক করে।
এ সময় রোহিঙ্গা হাসিনা, রিয়াজু, আলী সহ কয়েক জনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, যাদের বিয়ে হচ্ছে তারা তাদের আত্বীয় তাই তারা এই বিয়েতে এসেছে। চেকপোস্টে কেউ চেক করেছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, কেউ আমাদের কিছু বলেনা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি নুরুল আজিম সওদাগর বলেন, প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা কিভাবে এক সাথে কক্সবাজার আসলো। উখিয়া টেকনাফ থেকে আসার পথে স্থানীয়দের ৪ থেকে ৫ টি চেকপোস্টে চেক করে। তাহলে কিভাবে রোহিঙ্গারা আসলো? মুলত টাকার বিনিময়ে তারা প্রতিনিয়ত শহরে আসে। আমি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কক্সবাজারে আগমনে যারাই জড়িত তাদের শাস্তি দাবী করছি। একই সাথে হোটেল সী পার্ল এর মালিকের শাস্তি দাবী করছি। এছাড়া যারা যারা রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তি দাবী করছি।
এমএসএ/ইবিসি/ কক্সবাজার
সম্পাদক : মোহাম্মদ রুবেল, প্রকাশক : এম এইচ আরমান
১৫৮ ডিআইটি এক্সট রোড (২য় তলা) ফকিরাপুল, ঢাকা-1000, বাংলাদেশ। মোবাইলঃ সম্পাদকঃ ০১৯০৬০৫৬৩৯৯ ; প্রকাশকঃ ০১৮৭৬৫৪৪৮২৯ ; বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৭৫৭৯৭০৮৫ ; E-mail: info@ekusheybarta.com ; Gmail: ekusheybartaonline@gmail.com
২০১৩-২০২৩© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত