খুঁজুন
বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪ আষাঢ়, ১৪৩২

১৭ বছর পর ২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনকে নিয়োগের আদেশ প্রদান।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪৮ অপরাহ্ণ
১৭ বছর পর ২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনকে নিয়োগের আদেশ প্রদান।

সুপ্রিম কোর্ট ভবন (ফাইল ছবি)

প্রায় ১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

এরআগে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিল শুনবেন বলে আদেশে বলা হয়। এ সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

ওই বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন পৃথক আবেদন করেন।

আদেশের পর আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেছিলেন, এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন— এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলা হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। অপর একটি বেঞ্চ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া বৈধ বলেন। দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালে আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন পৃথক তিনটি আবেদন করেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিল না। এমনকি দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পিএসসির আইন ও বিধিতে নেই।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন।

২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রামে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ – মেয়ের

মোঃ মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে  পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ – মেয়ের

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় কালীগঞ্জ ইউনিয়নে  মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবা আবুল কাশেমকে গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কান্তার মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার নাগেশ্বরীর কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কান্তার মোড় এলাকার কাশেম আলী তার বিবাহিত মেয়েকে শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িত এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে বাবা (কাশেম আলী) পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, তার বাবা তাকে শশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িত এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় মেয়েটি তার বাবাকে বাধা দিয়ে ছিলেন। আকুতি জানিয়ে বলেছিলেন, বাবা হয়ে আপনি কিভাবে আমার সঙ্গে এ কাজটি করছেন। তোমার ইচ্ছে হলে আরও একটি বিয়ে করতে পারো। আমার সঙ্গে এমন খারাপ কাজ করো না। তাও আমার পাষণ্ড পিতা আমার ইজ্জতের ক্ষতি করে। আমি আমার বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে আর কোন বাবা এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বেলাল উদ্দিন ব্যাপারি, কদম আলী, আমিনুল ইসলাম, শাহাআলমসহ অনেকে। দ্রুত মামলা এবং আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।

এবিষয়ে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল আলম  জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মাদারীপুরে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত “

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
মাদারীপুরে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত “

জেলা প্রাশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোছা: ইয়াসমিন আক্তার, জেলা প্রাশাসক ও বিজ্ঞা জেলা ম্যাজিস্টেট। জেলা প্রাশাসক তার আলোচনায় বলেন গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় এখন ভালো ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে ৫৯ টি ইউনিয়নের হিসাব সহকারী/ ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ৪ দিনের ২ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় তাদের ডকুমেন্টশনের মানও পূর্বের তুলনায় ভালো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন চেয়ারম্যানরা নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করতে পারে তাই সকল ইউনিয়নে এজলাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেখানে এজলাস নেই সেখানে এজলাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল চেয়ারম্যানকে নিয়মিত এজলাসে বসে বিচার করতে হবে। ভিসিএমসি কমিটির সদস্য যারা আছেন তারা নিয়মিত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  উক্ত সভার সদস্য সচিব জনাব মুহম্মদ হাবিবুল আলম, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত অনেক মামলা সালিশ করা হয় যার ফলে মামলা গ্রহণ তুলনা মূলক কম। তাই গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভূক্ত মামলা যাতে সালিশ না করে তা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন প্রতি মাসে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে অন্যান্ন কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের নথি ও রেজিস্ট্রার দেখা হয় এবং আরো ভালো ভাবে করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। সদস্য সচিব তার বক্তব্যে বলেন বিগত ৩ মাসে ৫৯ টি ইউনিয়নে মোট ৩৬৯ টি মামলা দায়ের হয়েছে প্রতি মাসে প্রতি ইউনিয়নে ২.০৮℅ করে। এর মধ্যে জেলা আদালত থেকে ১২ টি মামলা গ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন গ্রাম আদালতের উপর আস্থা আছে বিধায় উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে মামলা প্রেরণ করা হচ্ছে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম গতিশীল রাখার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য উক্ত মিটিংএ বিগত ৩ মাসের কার্যক্রম নিয়ে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করেন জবাব মো: আলিউল হাসানাত খান, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, এভিসিবি-৩ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার শাখা, মাদারীপুর ।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জাহিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
১৬/০৬/২০২৫ তারিখ সোমবার সকাল ১১টায় বোচাগঞ্জ শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৯ জুন সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শিশিরের উপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিলম্ব এবং মূল অভিযুক্ত ফয়সাল মোস্তাকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান ওসি হাসান জাহিদ। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, বোচাগঞ্জে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটলেও ওসি হাসান জাহিদ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না। বরং, সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নওশাদ আলী, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে ওসির অপসারণের জোর দাবি জানান।
স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন, ওসি হাসান জাহিদ এবং তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ফয়সাল মোস্তাকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ এবং গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকি, সাধারণ মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ওসি হাসান জাহিদ জানান, শাহরিয়ার শিশিরের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া, তিনি দাবি করেন যে, তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ তুলেছেন তারা অবৈধ সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কর্মসূচি আয়োজন করেছেন। মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এই পরিস্থিতিতে বোচাগঞ্জ থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা ওসি হাসান জাহিদের দ্রুত অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।