সেনাবাহিনীর অভিযান: চন্দনাইশে ‘ক্রস ফিলিং’ গুদামে ২ হাওয়া মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ

সেনাবাহিনীর অভিযান। ছবি এম ফয়েজুর রহমান
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পুতুন তালুকদার এর বাড়িতে মেসার্স এফ কে এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিঃ এর এক্সক্লোসিভ পরিবেশক জসিমের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমানের অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ‘ক্রস ফিলিং’ ( গুদামে এক সিলিন্ডার থেকে আরেকটাতে গ্যাস ভরা) বাজারজাত করার তথ্য পাওয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৯টার থেকে ১০:৩০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চন্দনাইশ ক্যাম্পের কর্মরত মেজর ফজলে রাব্বি এর নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবৈধ গুদামঘরে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘটনাস্থল থেকে ২টি হাওয়া মেশিন, ৬টি গ্যাস সিলিন্ডারারের খালি বোতল ও ২টি ওয়েট মেশিন জব্দ করা হয়। এরপর চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা জব্দকৃত মালামাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের হেফাজতে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবৎ মেসার্স এফ কে এন্টারপ্রাইজ অবৈধভাবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কোম্পানী থেকে ক্রয় করে চন্দনাইশ উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন এলাকায় খুচরা এলপি গ্যাস ব্যবসায়ীদের মাঝে বিক্রী করেন। ফলে বুধবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পুতুন তালুকদার বাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রস ফিলিং করে লাইসেন্স প্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানির নকল স্টিকার ব্যবহার করে সিলিন্ডারগুলো বাজারজাত করার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আটক করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জব্দকৃত মালামাল ভ্রাম্যমাণ আদালতে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।