খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ
সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক

সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক

কক্সবাজারে এক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) এ, কে, এম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, আটক এক আসামিকে শিখিয়ে স্থানীয় অনলাইন চ্যানেল ডেকে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে, যা কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটেছে।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিক শাহিন মাহমুদ রাসেল তার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে এক নারী অভিযোগ করেন যে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল আলম তার স্বামীকে (সিএনজি চালক বজল করিম) মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। পোস্টের ক্যাপশনে সাংবাদিক রাসেল লেখেন,
“অপকর্মে মশগুল মাদকদ্রব্যের এডি দিদারুল। মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া সিএনজি চালক বজল করিমের স্ত্রী রাশেদার আহাজারি!!”

সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেল জানান, এক সিএনজি চালককে (বজল করিম) কোনো মাদক ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ আটক রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক দিদারুল আলমের সঙ্গে ফোনে কথা হলে বাকবিতণ্ডা হয়, তখন দিদারুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কিছুক্ষণ পর চালকের স্ত্রী রাসেলকে ফোন করে জানান, তার স্বামীকে আর ছাড়বে না বলে কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছেন।

এরপর রাসেল ওই নারীর ভিডিও বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করলেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে রাত সাড়ে ৯টায় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আগে থেকে আটক থাকা এক আসামিকে শিখিয়ে সাংবাদিক রাসেলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ানো হয় এবং সেটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো অপরাধী শত্রুতাবশত বা কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে যে কারো নাম বলতে পারে। তাই এমন অভিযোগ যাচাই না করে প্রচার করা আইনসম্মত নয়।

এই ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ডিএনসি) কাজী গোলাম তওসিফ বলেন,
“এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা লিখিত অভিযোগ দিন, আমি ডিজিকে বলে দিচ্ছি, দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মমতাজ তানভীর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, “কোনো আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি না দিলে বা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য কারও নাম উল্লেখ না করলে তাকে আসামি করা যায় না। পাবলিক প্লেসে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কাউকে অভিযুক্ত করাও আইনসিদ্ধ নয়। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”

এডি দিদারুল আলম ২০১৩ সাল থেকে একই পদে দায়িত্বে রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন এবং ডয়েচ ভেলের কক্সবাজার প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু মনে করেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের জন্য পীড়াদায়ক। আইন রক্ষা যাদের কাঁধে তারাই আইনের ব্যত্যয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এছাড়া সাংবাদিককে নাটক সাজিয়ে অপরাধী বানানোর চেষ্টাও নিন্দনীয়।

দৈনিক ইত্তেফাক ও জাগো নিউজ-এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইদ আলমগীর বলেন, “একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন নাটক সাজানো চরম অন্যায়। আমরা চাই, তদন্ত করে এর সঠিক বিচার করা হোক।”

দৈনিক যুগান্তর-এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। দিদারুল আলমের আগের অপকর্মগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত।”

কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক মেহেদী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, “সাংবাদিকরা যদি মিথ্যা মামলার শিকার হন, তাহলে মুক্ত গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়বে। প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”

দৈনিক সকালের সময়-এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সাহেদ ফেরদৌস হিরো বলেন, “প্রশাসনের উচিত সাংবাদিকদের হয়রানি না করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এই ধরনের ঘটনা সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।”

স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সচেতন মহল এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দিদারুল আলমের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

দিনাজপুরে জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে  জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

১৭ জুলাই ২০২৫ বেলা ৫ ঘটিকার সময় সরকারের ‘নির্লিপ্ততায়’ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ দিনাজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে লিলি মোড়, বুটিবাবুর মোড়, মুন্সিপাড়া, মডার্ন মোড় থেকে ঘুড়ে এসে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহবাহক- এ কে এম মাসুদুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন মো: রেজাউল রহমান রেজা সদস্য সচিব।
তারা বলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করা ও দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন বখতিয়ার আহমেদ কচি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ( স্থগিত), সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাদশা, মোন্নাফ মুকুল জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, তোশা জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি, মজিবর রহমান মজিব কৃষক দলের সদস্য সচিব, বাবু চৌধুরী প্রচার সম্পাদক আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. নুর আলম হক খোকন, মো. মাসুদ রানা, মো. রবিউল আলম শামীম, মো. শহীদুল ইসলাম সাজু, মো. শামীম আখতার শামীম, মো. ফরিজার রহমান তপু, মো. মিজানুর রহমান মুকুল, মো. আনোয়ার হোসেন খোকন, মো. মিজানুর রহমান সাজু, মো. মাসুম রেজা পলাশ, মো. নজরুল ইসলাম খোকা, মো. গোলাম মুর্শেদ খান রাজন, মো. খায়রুল হাসান, মো. কাদের খান জনি, মো. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ মুন্না, মো. নবাব আলী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরা হবার গৌরব অর্জন করে দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিন আহনাফ। কৃতি এই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার পক্ষ থেকে এই কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা এবং দশ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড উপহার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফাতিন আহনাফের বাড়িতে গিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উপহার পৌঁছে দেন। এসময় তারা এই শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

ফাতিন আহনাফ দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও উম্মে কাউসার দম্পতির কন্যা। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১৬ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করে। তার এই অসাধারণ সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহলে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

ফাতিন জানান,তার এই অর্জনের পেছনে শিক্ষকবৃন্দ এবং তার অভিভাবকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের কল্যাণেই এই ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।

এই কৃতি শিক্ষার্থীর বাবা লুৎফর রহমান বলেন,ফাতিনের এই অর্জনে আমরা সকলেই আনন্দিত,আপ্লুত। তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাহেবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে এটি তাকে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন,ফাতিন আহনাফের সেরা ফলাফলে আমরা খুবই আনন্দিত। সে আমাদের গর্ব। এই কৃতি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, সাবেক সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

মীর তুহিন, রাবি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

(more…)